গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে বলিউড অভিনেতা প্রতীক বাব্বরের নতুন ছবি ‘খোয়াবো কা ঝামেলা’। ছবিটির প্রচারে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেতা। সম্প্রতি সিনেমার প্রচারে এসে জীবনের অজানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বলিউড বাবলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতীক জানান, মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি!
অভিনেতা রাজ বাব্বর ও অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের পুত্র প্রতীক। অভিনয়টা যার রক্তেই প্রবাহিত। ২০০৮ সালে ‘জানে তু ইয়া জানে না’ সিনেমায় একটি ছোট চরিত্রেই নজর কাড়েন তিনি। তবে কাজের চেয়ে তিনি বেশি আলোচনায় ছিলেন ব্যক্তিজীবন নিয়ে। মাদকাসক্তির কারণে দিনের পর দিন কাটিয়েছেন পুনর্বাসন কেন্দ্রে।
অনেকেই তখন ভেবেছিলেন বলিউডের জনপ্রিয়তার প্রভাবে নিজেকে সামলাতে পারেননি প্রতীক। তবে এবার অভিনেতা জানিয়েছেন, বলিউডে এসে জনপ্রিয় হওয়ার পর মাদকে আসক্ত হননি তিনি। বরং তার অনেক আগে থেকেই মাদক নিতেন তিনি। তা একেবারে কিশোর বয়স থেকে।
প্রতীকের কথায়, ‘অনেকেই হয়তো ভাবেন বলিউডে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর, হাতে একসঙ্গে অনেক টাকা আসায় মাদকের নেশায় ডুব দিয়েছিলাম আমি। আদতে কিন্তু এমনটা মোটেই নয়। ১২-১৩ বছর বয়স থেকেই মাদক নেওয়া শুরু করেছিলাম আমি। স্পষ্ট করে জানাতে চাই আমার মাদকাসক্ত হওয়ার সঙ্গে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কোনো যোগ নেই।’
প্রতীক আরও বলেন, ‘আসলে আমার ছোটবেলাটা খুব সহজভাবে কাটেনি। পরিবারের মধ্যে কলহ ছিল, প্রচুর জটিলতা ছিল। সেই সময় থেকেই মাদকের প্রতি আসক্তি জন্মায়। তবে বর্তমানে সেই আসক্তি কাটিয়ে বেরিয়ে এসেছি। বহু বছর ধরে লড়াই করেছি নিজের সঙ্গে।’
এই অভ্যাস স্বাভাবিক জীবনে অবশ্যই প্রভাব ফেলেছিল প্রতীকের। অভিনেতার কথায়, ‘হ্যাঁ, এর প্রভাব পড়েছিল, এখনো প্রভাবিত করে, বিশেষ করে সম্পর্কের ক্ষেত্রে। মাদকের সঙ্গেই আসে ট্রমা। যত দিন সেটা না কাটছে, তত দিন তা সম্পর্ক ও জীবনের নানা বিষয়ে প্রভাব ফেলবেই। কিন্তু এমন সময় অবশ্যই আসে, যখন সবকিছু ঠিক করে নিতে হয়, যা বিগত অনেক বছর ধরে আমি করছি। আমার বাগ্দত্তা আমাকে একাধিক বিষয়ে অনেক সাহায্য করে। একে অপরকে বড় হতে সাহায্য করি আমরা। এটাই তো জীবন।’
উল্লেখ্য, প্রতীক অভিনীত ‘খোয়াবো কা ঝামেলা’ নির্মাণ করেছেন দানিশ আসলাম। এতে অভিনেতার বিপরীতে দেখা গেছে সায়নী গুপ্তাকে। সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে জিও সিনেমায়।
অভিনেতা প্রতীক বব্বর ব্যস্ত তাঁর নতুন ছবি ‘খোয়াবোঁ কা ঝামেলা’র প্রচারে।