ঝড়ের গতিতে ছুটছে সানি দেওলের ‘গদার টু’। বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে ছবিটি। এমনকি এই দৌড়ে ‘কেজিএফ টু’ কে পেছনে ফেলে দিয়েছে অনিল শর্মা পরিচালিত এই ছবি। এক সপ্তাহে ‘গদার টু’ দুর্ধর্ষ আয় করেছে। ইতিমধ্যে ৩০০ কোটি ক্লাবের সদস্য হয়ে গেছে সানির এই ছবি। প্রযোজনা সূত্র বলছে, ছবিটির বর্তমান আয় ৩০৫ কোটি ১৩ লাখ রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪০০ কোটি টাকার বেশি।
২০০১ সালে মুক্তি পেয়েছিল অনিল শর্মা পরিচালিত ‘গদার: এক প্রেম কথা’। সেই সময় বক্স অফিসের অনেক পুরোনো রেকর্ড ভেঙে ফেলেছিল এই ছবি। দর্শক ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন তারা-সাকিনার জুটিকে।
দীর্ঘ ২২ বছর পর আবার একই ছবি ধরা পড়ছে সর্বত্র। এই সিকুয়েল ছবিকে ঘিরে দর্শকের মধ্যে একই উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। বক্স অফিসে রেকর্ড ভাঙা-গড়ার নেশায় মেতে উঠেছে ‘গদার টু’।
মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ছবিটি ২৮৪ কোটির বেশি আয় করেছে। দ্বিতীয় শুক্রবারে সানির এই ছবি আবার বড়সড় লাফ দিয়েছে। মুক্তির অষ্টম দিনে প্রায় ২০ কোটির মতো আয় করেছে ছবিটি।
৮ দিনের মাথায় ‘গদার টু’ বক্স অফিস থেকে ৩০৩ কোটির বেশি আয় করেছে। সবচেয়ে দ্রুত ৩০০ কোটি ক্লাবের ছবিগুলোর তালিকায় এই সিকুয়েল ছবির নাম জুড়ে গেছে।
এখন পর্যন্ত শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ সবচেয়ে দ্রুত ৩০০ কোটি রুপি আয় করা ছবি। মাত্র ৬ দিনে কিং খানের এই ছবি ৩০০ কোটি পার করে ফেলেছিল, ‘গদার টু’ পার করেছে ৮ দিনে। দক্ষিণ ভারত ও হিন্দি বলয়ে সবচেয়ে সাড়া ফেলেছিল ‘বাহুবলি টু’ ও ‘কেজিএফ টু’। প্রথমটি ১০ দিনে ৩০০ কোটি ক্লাবের সদস্য হয়েছিল। দ্বিতীয়টির সময় লাগে ১১ দিন। এসব ছবির পর উঠে আসে আমির খানের ‘দঙ্গল’ ছবির নাম। আমিরের এই ছবির ৩০০ অঙ্ক পার করতে ১৩ দিন সময় লেগেছিল।
মাত্র ৮ দিনে ‘গদার টু’ বলিউডের সেরা ১০ ছবির তালিকায় চলে এসেছে। এখন পর্যন্ত এই ছবি আয়ের দিক থেকে অষ্টম স্থানে আছে। বাণিজ্যবিশেষজ্ঞদের মতে, সানির এই ছবি খুব দ্রুত সবাইকে ছাপিয়ে যাবে।
অনিল শর্মা পরিচালিত ‘গদার টু’ ছবিতে সানি ছাড়া আছেন আমিশা প্যাটেল, উৎকর্ষ শর্মা, সিমরাত কাউর, মনীষ ওয়াধওয়াসহ আরও অনেকে।