বয়স তাঁর ৫৪। কিন্তু এখনো বয়সের ছাপ পড়েনি বলিউড তারকা ভাগ্যশ্রীর মধ্যে। বিয়ের পর রুপালি জগৎ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। ইদানীং ফিরে এসেছেন, পর্দায় তাঁকে মাঝেমধ্যে দেখা যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ভাগ্যশ্রী অভিনীত ছবি ‘সজিনি সিন্ধে কা ভাইরাল ভিডিও’।
ভাগ্যশ্রীকে এর আগে পর্দায় দেখা গেছে ছত্রপতি ছবিতে। সেই তুলনায় এবার এক অন্য ধারার ছবিতে তাঁর উপস্থিতি। ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইকে এক সাক্ষাৎকারে ভাগ্যশ্রী এ ছবির প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি এই ছবির কাজ শেষ হয়েছে। এই ছবির অনেক চরিত্রকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। এটা স্পষ্ট নয়, কে আসল দোষী। এটাই ছবিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছে।’ এই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী আরও বলেছেন, ‘ছবিতে আমার চরিত্রটা একদম অন্য রকম। এ রকম চরিত্রে আমাকে আগে কেউ কখনো দেখেননি।’
১৯৮৯ সালে সুরজ বরজাতিয়ার ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন ভাগ্যশ্রী।
একটা ছবি তাঁকে রাতারাতি খ্যাতির তুঙ্গে পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু বিয়ে করে সংসার পেতেছিলেন এই অভিনেত্রী। এই সাক্ষাৎকারে বলিউড থেকে দূরে থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘অনেক কম বয়সে বিয়ে করেছি। বিয়ের এক বছর পরেই অভিমন্যু আমাদের জীবনে আসে।
একজন শিশুর দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে তার মাকে বেশি প্রয়োজন। আমি বলছি না যে যেসব নারী কাজ করেন, তাঁরা সন্তানদের দিকে নজর দিতে পারেন না। কিন্তু তখন আমার বয়স কম ছিল। আমার সে ক্ষমতাও ছিল না যে কাজ, সন্তান আর নিজের পরিবারের দিকে সমানভাবে নজর দেব। সব দায়িত্ব একসঙ্গে সামলানোর মতো বয়স তখন ছিল না।’
এ প্রসঙ্গে ভাগ্যশ্রী আরও বলেন, ‘সন্তান আর কাজের মধ্যে আমি জানতাম যে আমার জীবনে কোনটাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই কাজ ছেড়ে সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য আমি কখনো হতাশায় ভুগিনি।’
মিখিল মুসালে পরিচালিত ‘সজিনি সিন্ধে কা ভাইরাল ভিডিও’ ছবিতে ভাগ্যশ্রী ছাড়াও আছেন নিমরাত কাউর, রাধিকা মদন, সুবোধ ভাবে।