মা হওয়ার পর জীবন অনেকটাই বদলে গেছে বলে মনে করেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। এমনকি ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এখন তাঁকে মাতৃত্ব প্রভাবিত করে বলে জানিয়েছেন এই তারকাকন্যা। এক সাক্ষাৎকারে মেয়ে রাহাকে নিয়ে কথা বলেন আলিয়া।
আলিয়ার নামের সঙ্গে অভিনেত্রীর পাশাপাশি নতুন নতুন পরিচয় যুক্ত হচ্ছে। প্রযোজক হিসেবে তাঁর আগেই অভিষেক হয়েছে। শিশুদের পোশাকের ব্র্যান্ড নিয়ে এসে উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন। এবার লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন আলিয়া। শিশুদের জন্য তিনি লিখেছেন ছবির গল্পের বই এড ফাইন্ডস আ হোম। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি তাঁর লেখা এই বই প্রকাশ করেছেন। আলিয়া এদিনের অনুষ্ঠানে মেয়ে রাহার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘গল্পকার হিসেবে আমি রোজ রাহার জন্য নতুন নতুন পথ খুঁজে বের করি। রাহার ছোট ছোট নানা বিষয় রণবীরকে দারুণ রোমাঞ্চিত করে।’
জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে আলিয়া তাঁর আগামী ছবি জিগরার প্রসঙ্গে বলেন, ‘জিগরা ছবির প্রস্তাব যখন আমার কাছে এল, আমি তখন সবচেয়ে সতর্ক সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম। তাই সে সময় এই ছবির চিত্রনাট্য পড়ে আমার দারুণ লেগেছিল। জিগরা ছবির বিষয়বস্তু আমার হৃদয় স্পর্শ করেছিল। আমি এই ছবির সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করতে পারছিলাম। আর একজন মা-ই তা অনুভব করতে পারেন। আসলে কোনো ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এখন আমাকে মাতৃত্ব দারুণভাবে প্রভাবিত করে। আর সেই ছবিতে সংযুক্ত হওয়া আমার জন্য এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই অনুভূতির কারণে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার জন্য এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে।’
মা হওয়ার পর নিজের মধ্যে পরিবর্তন প্রসঙ্গে আলিয়া বলেন, ‘আমার মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন যা এসেছে, তা হলো আমার ভেতর সহমর্মিতা বেড়ে গেছে। এখন আমি অনেক বেশি সংবেদনশীল। অবশ্য আগেও আমি পরিবারকাতর ছিলাম। আমি আমার মা, বাবা, বোনদের ভালোবাসি। কিন্তু নিজে মা হওয়ার পর যেন সবকিছু বদলে যায়। আমি জানি না আমাকে কীভাবে এসব প্রভাবিত করছে।’
রাহাকে গল্প পড়ে শোনান আলিয়া। তিনি জানান, ‘১৯ মাস ধরে প্রতি রাতে আমি রাহার সঙ্গে পড়াশোনা করি। ওকে রোজ নতুন নতুন গল্প পড়ে শোনাতে আমি খুব রোমাঞ্চিত হই। জন্তু–জানোয়ার নিয়ে কোনো কাহিনি হলে আমি ওদের মতো আওয়াজ করি। আর ও জন্তু-জানোয়ার খুব ভালোবাসে।’ এই বলিউড নায়িকা আরও বলেন, ‘দিন শেষে আমি আর রণবীর যখন একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাই, তখন রাহার ব্যাপারেই কথা বলি। মা-বাবা হিসেবে রাহাকে ঘিরে নিজেদের অনুভূতি একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করি। সারা দিনে রাহার সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্তগুলো স্মরণ করি। আর এভাবেই নিজেদের সন্তানদের সঙ্গে একটা শক্তিশালী বন্ধন হয়।’