গত সপ্তাহে তৃতীয় মৌসুম মুক্তির পর থেকেই আবারও আলোচনায় অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সিরিজ ‘পঞ্চায়েত’। সিরিজটি নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই উঠে আসছে এর অভিনেতার বিভিন্ন গল্প। এবার জানা গেল, ‘পঞ্চায়েত’-এ ‘ভূষণ’ চরিত্রে অভিনয় করা দুর্গেশ কুমারের সংগ্রামের গল্প।
‘পঞ্চায়েত’-এ নেতিবাচক চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য সবার কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন দুর্গেশ কুমার। প্রথম মৌসুমে সেভাবে গুরুত্ব না পেলেও, দ্বিতীয় মৌসুম থেকে এই চরিত্র হয়ে উঠেছে সিরিজটির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ভূষণ ছাড়া ‘পঞ্চায়েত’ এখন কল্পনাও করা যায় না। তবে অভিনেতা জানিয়েছেন, তাঁর শুরুর পথটা এত মসৃণ ছিল না। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে অভাবের তাড়নায় প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম ডিএনএর কাছে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা তাঁর কঠিন সময়ের কথা জানান। সেখানেই তিনি বলেন যে একটা সময় তাঁকে প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিতে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। অভিনেতার ভাষ্য, ‘কাস্টিং পরিচালকেরা আমাকে বলতেন, “তোমার প্রতিভা আছে, কিন্তু অডিশন ভালো হচ্ছে না।” টাকার জন্য তখন আমি প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমায় অভিনয় শুরু করি।’
একই সাক্ষাৎকারে দুর্গেশ আরও বলেন, ‘আমি অভিনয় ছাড়া থাকতে পারি না। আমার কাছে যেসব কাজের প্রস্তাব এসেছে, সব আমি করেছি। কারণ, আমি আমার অভিনয়ক্ষমতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আমরা এখনো কাজ পাচ্ছি। কাজ করে যেতে পারাটাও তো অনেক বড় কথা, তা–ই না। যদি টানা কাজ না করতাম, তাহলে এখনো কি কেউ ডাকতেন? অ্যাকশন ছবিতে কেউ আমাদের নেন না। অন্তত কমেডি করার যেটুকু সুযোগ পাচ্ছি, তাতেই আমি খুশি। সেটুকুই মন দিয়ে ভালো করে করতে চাই।’
আরেকটি ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য লাল্লানটপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুর্গেশ জানান, অভিনয় করতে গেলে লড়াই করার জন্য মানসিকভাবে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ, এই জগৎ খুবই অনিশ্চিত। আজ কাজ আছে, আবার কাল না–ও থাকতে পারে। নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘গত ১১ বছরে আমি দুবার বিষণ্নতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি।’
দুর্গেশ কুমার ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে অভিনয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা করেছেন। পরে তিনি ইমতিয়াজ আলির ‘হাইওয়ে’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়জীবনে পা রাখেন। এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে দেখা গিয়েছিল আলিয়া ভাট ও রণদীপ হুডাকে। এরপর তাঁকে ‘সুলতান’, ‘ফিকি আলি’, ‘সঞ্জু’, ‘ধড়ক’, ‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতেও দেখা গিয়েছে।