রাধিকা আপ্তে
রাধিকা আপ্তে

বাড়িতে আমি সম্পূর্ণ অন্য এক মানুষ: রাধিকা আপ্তে

ঝুলিতে তাঁর উপচে পড়ছে দেশি-বিদেশি নানা প্রকল্প। তাই দম ফেলার ফুরসত নেই অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তের। তবে মাঝেমধ্যে অভিনয়জীবনের বাইরে নিজের মতো করে সময় কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাধিকা নিজের অভিনয়জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন।

রাধিকা আপ্তেকে গভীর ও ব্যতিক্রমী চরিত্রে বেশি দেখা যায়। সাধারণ মানুষকে তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলো অনেক সময় প্রভাবিত করে। তবে রাধিকাকে তাঁর অভিনীত চরিত্র খুব একটা প্রভাবিত করে না।

এ প্রসঙ্গে ফিল্ম ফেয়ার পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমি খুব সহজেই নিজের অভিনীত চরিত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারি। তবে আমি আমার অভিনীত প্রতিটি চরিত্র থেকে কিছু না কিছু নিজের বাড়িতে বয়ে আনি।

রাধিকা আপ্তে

প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে কিছু না কিছু লুকিয়ে থাকে। এমনকি কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাঁর থেকেও আমি কিছু নেওয়ার চেষ্টা করি। তবে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে আমি দুর্দান্ত। সেটে কোনো দৃশ্য “কাট” বলার মুহূর্ত থেকেই আমি তার থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারি। বাড়িতে আমি সম্পূর্ণ অন্য এক মানুষ। যে চরিত্রে আমি অভিনয় করছি, তা আমি একদমই ভুলে যাই।’

অভিনেত্রী হিসেবে কোনো সামাজিক সমস্যাকে রাধিকা পর্দায় তুলে ধরতে ইচ্ছুক কি না, এমন প্রশ্নে তাঁর জবাব, ‘সে রকম কিছু নেই। আমি সমাজকর্মী নই। আমি একজন অভিনেত্রী। তাই গল্প বলতে আমি ভালোবাসি।’ একটি ছবি নির্বাচন করার আগে রাধিকা অবশ্যই দেখেন যে পরিচালক কে। এ ছাড়া ছবির গল্প, নিজের অভিনীত চরিত্র, সহ-অভিনেতা—এই সবকিছুকে গুরুত্ব দেন।

রাধিকার অভিনয় সব সময় প্রশংসিত হয়ে এসেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চিত্রসমালোচকদের মুখে প্রশংসা শুনতে সত্যি ভালো লাগে। কিছু কিছু সময় স্বীকৃতির প্রয়োজন হয়। তবে একটা দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য সহ–অভিনেতা ভালো হওয়া প্রয়োজন। ভালো সব অভিনেতা সব সময় ভালো কাজ করতে সাহায্য করে।’

রাধিকা আপ্তে

ইদানীং অনেক প্রশংসা শুনলেও রাধিকাকে প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি বহুবার হতে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘ফ্রিল্যান্স কাজের ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যান প্রতিদিনের জীবনযাপনের অংশ। অভিনয় অবশ্যই ফ্রিল্যান্স কাজ। প্রত্যাখ্যানকে গ্রহণ করতে শিখতে হবে। আর তা না হলে প্রত্যাখ্যানকে ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না; কারণ, এটা ব্যক্তিগত জিনিস নয়। প্রত্যাখ্যানকে ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া বন্ধ করলেই ভালো থাকবেন।’