হিন্দি সিনেজগতের প্রথম সারির নায়িকা বিদ্যা বালান। ভক্ত-সমালোচকদের মতে, বিদ্যা বালানের নামেই ছবি চলে। মূলত সাহিত্যনির্ভর সিনেমায় কাজ করে বেশি সফলতা অর্জন করেছেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে সফলতা আসে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’–এর মাধ্যমে। বর্তমানে বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিদ্যার ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ সিনেমা। এই সিনেমাতেও বিদ্যা ফিরেছেন পুরোনো রূপে, মঞ্জুলিকা চরিত্রে। ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে ১৭ বছর পর আবারও বিদ্যার নামের পাশে বসেছে সুপারহিট তকমা। যদিও বিদ্যার ভাষ্য, বড় বাজেটের সিনেমা আর বড় তারকা হলেই বক্স অফিসে যে সফলতা নিশ্চিত, সেটি সঠিক নয়। যার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বাণিজ্যিক সিনেমার মুখ থুবড়ে পড়া। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো, এই সূত্র সব সময় কার্যকর না–ও হতে পারে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পর্দার মঞ্জুলিকা। সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বলেছেন, ‘সব সিনেমাকে এক কাতারে ফেলে দিলে ঠিক হবে না। এটা কখনোই বলা যায় না যে বড় তারকা মানেই বক্স অফিসে সফলতা। আবার এমন অনেক ছবি আছে, বড় তারকা সত্ত্বেও ছবি সফল। উদাহরণ হিসেবে ‘স্ত্রী ২’, ‘সিংহম এগেইন’ এবং ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’-এর দিকে ইঙ্গিত করেন অভিনেত্রী। কিন্তু কিছু সিনেমার ক্ষেত্রে সেই সূত্র কাজে না–ও লাগতে পারে।
সিনেমা হিটের ব্যাপারে সেই সিনেমার নির্দিষ্ট ভাগ্য থাকে বলেও মন্তব্য বিদ্যার। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক হলেও মেনে নিতে হবে। ছবি ভালো হলেই সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার সিনেমার ডিস্ট্রিবিউশনের গাফিলতিও এ ক্ষেত্রে ছবিটি সফল না বিফল হবে, সেটি ঠিক করে দেয়। ছবি সবার কাছে পৌঁছাতে না পারলে অসফল হবেই।’ সে কারণে সিনেমা বিতরণের গাফিলতিকেও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন অভিনেত্রী। এসব সমস্যা নিয়ে কখনো মাথা ঘামানো হয় না বলেও মন্তব্য করেন অভিনেত্রী।
সেই সঙ্গে বর্তমান সময়ে পুরোনো সিনেমা নতুন করে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, সেটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখেন বিদ্যা বালান। যে কারণে মানুষ আবারও সিনেমা হলমুখী হচ্ছেন। বিদ্যাও চান নিজের ‘কাহানি’ ছবিটি আবারও মুক্তি পাক প্রেক্ষাগৃহে। তাঁর কাছে সিনেমাটি একটি মাইলফলক।
১৯৯৫ সালে একতা কাপুরের জনপ্রিয় কমেডি টিভি সিটকম ‘হাম পাঁচ’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন বিদ্যা। যেখানে রাধিকা মাথুরের চরিত্রে অভিনয় করে সবার মনে স্থায়ী ছাপ ফেলেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে বলিউডের সেরা নায়িকাদের একজন হয়ে উঠেছেন বিদ্যা বালান।