‘চোখের বালি’র নির্মাতা প্রয়াত ঋতুপর্ণ ঘোষের বহুল প্রশংসিত সিনেমা। ২০০৩ সালে মুক্তির পর ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারই জিতেছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঐশ্বরিয়া রাই, রাইমা সেন অভিনীত সিনেমাটি।
ছবিতে প্রসেনজিৎ ও ঐশ্বরিয়ার বেশ কয়েকটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য ছিল। এবার ছবির সাহসী দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ। খবর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার
ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল—উত্তরে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘মিষ্টি ও সুন্দর।’ ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্য করতে গিয়ে ঠিক কী ঘটেছিল, সে কথাও জানান প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
প্রসেনজিৎ বলেন, ‘ঐশ্বর্য খুব ভালো ও মিষ্টি। আমরা এখনো মাঝে মাঝে দেখা করি।’ প্রয়াত পরিচালক, বন্ধু ঋতুপর্ণ ঘোষের কথাও উল্লেখ্য করে প্রসেনজিৎ জানান, তাঁর সঙ্গে সেটে নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ তর্ক হতো। সেই সূত্র ধরেই সেটের নানা কথা এসে পড়ে। তিনি জানান, ঐশ্বর্য সেটে সাবেকি বাঙালি খাবার দিয়ে প্রাতরাশ সারতেন, প্রায়ই তাঁদের মধ্যে খাবারের আদান- প্রদান হতো, এই সুন্দর মুহূর্তগুলো তাঁদের বন্ধুত্বকে আরও গাঢ় করেছিল। তবে শুধু খাবার দেওয়া-নেওয়া নয়, নানা বিষয় নিয়ে প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণের তর্ক বাঁধলে তা সামাল দিতেন অভিনেত্রী। আর এসব মিলিয়ে প্রসেনজিতের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার ভালো সম্পর্কও গড়ে ওঠে।
এ প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘“চোখের বালি”র সেটে, ঋতু ও আমি প্রায়ই নানা বিষয় নিয়ে তর্ক জুড়তাম। আমরা সকালের জলখাবারের জন্য বাঙালি কচুরি আর মিষ্টি অর্ডার করতাম।
ঐশ্বরিয়া খেতে খেতে জিজ্ঞাসা করত, “তোমরা দুজন কেন তর্কাতর্কি করো?” ঋতু আর আমি একসঙ্গে অনেক ছবি করেছি, আমরা খুব ভালো বন্ধু কিন্তু তা–ও বিতর্ক আমাদের মধ্যে তৈরি হতোই।’
ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সাহসী দৃশ্যগুলোতে অভিনয় সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে অভিনেতা বলেন দৃশ্যগুলো ছিল ‘ম্যাজিকাল’ ও ‘অবিশ্বাস্য’। তিনি ঐশ্বরিয়ার কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও অভিনেত্রীর পেশাদারত্বেরও প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা সেটে যেতাম, একটা ম্যাজিক হতো। ছবিতে আমাদের অনেক সাহসী দৃশ্য ছিল, তবে ঋতু সেখানে থাকায় সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করা হয়ে যেত।’
কথায় কথায় প্রসেনজিৎ ঐশ্বরিয়ার স্বামী ও অভিনেতা অভিষেক বচ্চনেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘অভিষেক আমার দেখা সবচেয়ে মিষ্টি ছেলেদের মধ্যে একজন। তাঁরা দুজনই খুব ভালো।’