‘ঠুকরাকে মেরা পেয়ার’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি
‘ঠুকরাকে মেরা পেয়ার’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

সেই তো ধনী-গরিবের প্রেম, তবু কেন দর্শকের এত পছন্দ

ধনী-গরিবের প্রেম। উপমহাদেশের সিনেমায় এই প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে কত যে সিনেমা হয়েছে, ইয়ত্তা নেই। এসব সিনেমায় বেশির ভাগ সময়ই নায়ক থাকেন গরিব, নায়িকা বড়লোক। এরপরই অবধারিতভাবে আসে এই বহুল চর্চিত সংলাপ ‘বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়িয়েছিস...’। এবার এই ধনী-গরিবের প্রেম নিয়ে নির্মিত হয়েছে হিন্দি ওয়েব সিরিজ ‘ঠুকরাকে মেরা পেয়ার’। বহুল চর্চিত বিষয় হলেও দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সিরিজটি। গত ২২ নভেম্বর মুক্তির পর ডিজনি প্লাস হটস্টারের চলতি বছর সবচেয়ে বেশি দেখা সিরিজে পরিণত হয়েছে এটি। খবর ভ্যারাইটির

মুক্তির মাত্র ১৬ দিনের মধ্যেই রেকর্ড গড়েছে সিরিজটি। শ্রদ্ধা পাসি জয়রথের সিরিজটির প্রেক্ষাপট ভারতের উত্তর প্রদেশে।

‘ঠুকরাকে মেরা পেয়ার’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

গরিব ঘরের তরুণ কুলদীপের সঙ্গে প্রেম হয় ধনীর দুলালি শানবিকার। অন্য সব প্রেমের গল্পের মতোই এখানে বাধা হয়ে আসে নায়িকার পরিবার। যুক্ত হয় আরও নানা ঝামেলা।

‘আমরা চেয়েছি এই সময়ের নির্মাণের ধারায় এমন একটি প্রকল্প বানাতে, যা তরুণদের আবেগ ভালোভাবে তুলে আনতে পারে।’

‘ঠুকরাকে মেরা পেয়ার’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

ভ্যারাইটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন নির্মাতা শ্রদ্ধা। সিরিজটিতে চেনা গল্প সততার সঙ্গে তুলে আনতে চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

সিরিজের প্রধান দুই চরিত্রে দেখা গেছে দুই তরুণ অভিনয়শিল্পী ধাভাল ঠাকুর ও সঞ্চিতা বসুকে। মুক্তির পর দুজনকেই ভূয়সী প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দর্শক, সমালোচকেরা।
এটা একটা ছোট শহরের গল্প। এ জন্যই ভারতের নানা প্রান্তের ছোট শহরের তরুণেরা সিরিজটি বেশি পছন্দ করেছেন। বলেন সঞ্চিতা।

সিরিজের সাফল্যে আপ্লুত অভিনেতা ধাভাল ঠাকুরও। তবে তিনি মনে করেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে পাওয়া এমন সাফল্য তাঁকে আরও বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।

জানা গেছে, সিরিজটির দ্বিতীয় মৌসুমও তৈরি হবে।