হিন্দি ছবির দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছেন শানায়া কাপুর। সামনে মুক্তি পাবে ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি ‘বেধড়ক’। বলিউডের নবাগত এই অভিনেত্রীর এখন থেকেই তাই বুক ধুকপুক, নাই হতে বসেছে রাতের ঘুম। নামের শেষে কাপুর পদবী দেখে অনুমান করা শক্ত নয় তিনি কোন পরিবারের মেয়ে। কাপুর পরিবার থেকে এ প্রজন্মের সোনম, জাহ্নবী, অর্জুন ইতিমধ্যেই বলিউডে নিজের জায়গা পোক্ত করে ফেলেছেন। এবার খুশি ও শানায়া কাপুরের অভিষেক হতে চলেছে। নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া তাঁরা। সঞ্জয় কাপুর ও মাহীপ কাপুরের মেয়ে শানায়া সহপরিচালক হিসেবে এত দিন বলিউডে কাজ করেছেন। এবার নায়িকা হিসেবে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে চলেছেন। ধর্মা প্রোডাকশনের ‘বেধড়ক’ ছবির মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করতে চলেছেন শানায়া। শশাঙ্ক খৈতান পরিচালিত এ ছবিতে আছেন আরও দুই নবাগত—গুরফতেহ পীরজাদা ও লক্ষ লালওয়ানি।
বলিউডের নায়িকা হিসেবে নাম লেখানোর আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শানায়ার অনুরাগীর সংখ্যা নজর কাড়ার মতো। বলা যায়, ছবি মুক্তির আগেই তারকাখ্যাতি উপভোগ করছেন তিনি। অন্যদিকে অভিষেক ছবি নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে। নিজের অভিষেক ছবি মুক্তির আগে অম্লমধুর অনুভূতি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘একদিকে যেমন নার্ভাস, অন্যদিকে তেমনই উত্তেজিত। নার্ভাস কারণ, নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে চলেছি। তবে প্রথম ছবি বলে নয়, ক্যারিয়ারের পথে এটা আমার প্রথম পদক্ষেপ। তাই অনেক বেশি চাপে আছি। আশা করি, আমার ক্যারিয়ার দীর্ঘ ও সুন্দর হবে। উত্তেজিত কারণ, আমি ছোটবেলার স্বপ্নের খুব কাছে চলে এসেছি। একসঙ্গে অনেক অনুভূতি যেন আমাকে জাপটে ধরেছে।’
ছবির প্রস্তুতি নিয়েও শানায়া কথা বলেন, ‘গুরফতেহ, লক্ষ ও আমি এ ছবির জন্য নিজেদের নানাভাবে প্রস্তুত করেছি। পুরো টিমের জন্য এটা একটা বিশেষ ছবি। ছবিটা আমার হৃদয়ের অনেক কাছের। ক্যারিয়ারের একদম শুরুতেই ‘বেধড়ক’-এর মতো ছবিতে সুযোগ পাওয়ার জন্য নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি।’ ২২ বছর বয়সী এই তারকাকন্যা মনে করেন, ছবির প্রধান চরিত্রগুলোতে নতুন অভিনয়শিল্পীরা থাকায় তাঁর অভিষেকটা একটু অন্য রকম হতে চলেছে। তিনি বলেন, ‘আমার অভিষেকটা আর পাঁচজনের থেকে আলাদা হতে চলেছে। ইন্ডাস্ট্রিতে এর আগে এ রকম অভিষেক খুব একটা হয়নি। বেধড়ক তিন তরুণকে নিয়ে এক দুর্দান্ত কাহিনি।’
‘বেধড়ক’ ছবিতে নিজের অভিনীত চরিত্র প্রসঙ্গে শানায়া বলেন, ‘চরিত্রটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। নিজেকে চরিত্রটির জন্য প্রস্তুত করে চলেছি। বলা যায়, দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছি। নিজেকে প্রমাণের জন্য যেকোনো ধরনের পরিশ্রম করতে রাজি। দর্শক যখন ছবিটা দেখবেন, আশা করি, তখন আমার পরিশ্রম তাঁদের চোখে পড়বে।’