সাফল্য পাওয়ার পরও বলিউডের কোনো নামী প্রযোজনা সংস্থা তাঁকে ডাকেনি। কিন্তু তাঁকে থামানো যায়নি। পরে তাঁর সঙ্গে কাজ করেছে প্রথম সারির অনেক প্রযোজনা সংস্থা। হচ্ছিল কার্তিক আরিয়ানের কথা। একের পর এক হিট দিয়ে এখন হিন্দি সিনেমার অন্যতম শীর্ষ নায়ক তিনি। আজ ২২ নভেম্বর অভিনেতার জন্মদিন। জেনে নেওয়া যাক কার্তিক আরিয়ানের তারকা হওয়ার গল্প।
‘সনু কে টিটু কি সুইটি’ দিয়ে ২০১৮ সালে বলা যায় ‘দ্বিতীয় ইনিংস’ শুরু করেছিলেন কার্তিক। এরপর তাঁর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া ৮ সিনেমার ৫টিই হিট; বাড়িতে মিথ্যা বলা কার্তিক হয়তো এই জীবনই চেয়েছিলেন!
কার্তিক মুম্বাইয়ে এসেছিলেন অভিনেতা হওয়ার আশায়। কিন্তু বাড়িতে বলেছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। নাভি মুম্বাইয়ের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বটে, তবে সেটা ছিল মুম্বাইয়ে থাকার বাহানামাত্র। তিনি আসলে পড়াশোনা ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত অডিশন দিয়েছেন। বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। কার্তিক এসেছেন সিনেমা পরিবারের বাইরে থেকে। তাই তাঁর জন্য সুযোগ পাওয়াটা সহজ ছিল না।
২০১১ সালে লাভ রঞ্জনের ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ দিয়ে শুরু। ছবি প্রশংসিত হয়, বক্স অফিসেও হিট হয়। তবু সেভাবে বড় প্রযোজনা সংস্থা থেকে ডাক পান না। ২০১৮ সালে যখন ‘সনু কে টিটু কি সুইটি’ সুপারহিট হয়, তখন কার্তিককে আর এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এরপর ‘লুকা চুপি’, ‘পতি পত্মী অউর ওহ’ সুপারহিট হয়। কার্তিক সুযোগ পান ইমতিয়াজ আলীর ‘লাভ আজকাল’-এ। কোভিড মহামারির কারণে ছবিটি সেভাবে হলে চলতে পারেনি।
তবে ২০২২ সালে হিন্দি সিনেমার বক্স অফিস যখন ধুঁকছিল, তখন কার্তিক আবার ঝড় তোলেন। তাঁর অভিনীত ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ সুপারহিট হয়। এরপর ‘শেহজাদা’সেভাবে জমেনি। কিন্তু ‘সত্যপ্রেম কি কথা’ দিয়ে আবার কক্ষপথে ফেরেন কার্তিক। সবশেষ ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ দিয়ে আবারও সুপারহিট তিনি।
কার্তিকের পরিচিতি মূলত রোমান্টিক নায়ক হিসেবে। তবে ‘ফ্রেডি’, ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ান’, ‘ধামাকা’ সিনেমা দিয়ে নিজের ইমেজ ভাঙার চেষ্টা করেছেন। ব্যর্থ হলেও ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেননি। ফলে নানা ধরনের দর্শকের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।
সমালোচকেরা মনে করেন, কার্তিক অভিনেতা হিসেবে অসাধারণ নন, তবে নিজের পরিশ্রম আর নিবেদন দিয়ে ঘাটতিগুলো পুষিয়ে দিতে পারেন। পর্দায় তাঁকে দেখে ‘ফাঁকিবাজ’ মনে হয় না। বরং নিবেদিতপ্রাণ এক অভিনেতাকেই চোখে পড়ে।
সারা আলী খানের সঙ্গে মাঝে কার্তিকের প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এ ছাড়া কার্তিককে নিয়ে খুব বেশি গুঞ্জন নেই। অন্য অনেক তারকার মতো তিনি প্রচুর সাক্ষাৎকার দেন না, বিতর্কিত মন্তব্যও করেন না। ফলে ভক্ত-অনুসারীদের কাছে তাঁর একটা ‘ক্লিন-ইমেজ’ আছে। এটাও তাঁর সিনেমার সাফল্যের একটি বড় কারণ।
‘সনু কে টিটু কি সুইটি’ দিয়ে ২০১৮ সালে বলা যায় ‘দ্বিতীয় ইনিংস’ শুরু করেছিলেন কার্তিক। এরপর তাঁর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া ৮ সিনেমার ৫টিই হিট; বাড়িতে মিথ্যা বলা কার্তিক হয়তো এই জীবনই চেয়েছিলেন!
সূত্র: ফিল্ম কম্পানিয়ন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস