দেব আনন্দ। আইএমডিবি
দেব আনন্দ। আইএমডিবি

‘জঞ্জির’-এর প্রস্তাব কেন ফিরিয়ে দেন দেব আনন্দ

১৯৭৩ সালের মে মাসে মুক্তি পেয়েছিল সত্তর দশকের অন্যতম হিট ছবি ‘জঞ্জির’। এই ছবির সুবাদেই রাতারাতি তারকা হয়ে গিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। হিন্দি ছবির দুনিয়ায় শুরু হয়েছিল ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ নায়কের সূচনা। যে নায়ক অকারণে হাসে না, তথাকথিত রোমান্সে বিশ্বাসী নয়। একরোখা, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সেই নায়ক পারদর্শী দুর্ধর্ষ অ্যাকশনে। তবে জানেন কি, অমিতাভ নয় ‘জঞ্জির’-এর জন্য পরিচালক প্রকাশ মেহরা এবং লেখক জুটি সেলিম-জাভেদের প্রথম পছন্দ ছিল দেব আনন্দ। তবে এই ছবির নায়ক হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দেব আনন্দ। কিন্তু কেন? এত বছর পর ফাঁস হলো সেই কথা। খবর পিঙ্কভিলার।

২০ আগস্ট অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে সেলিম খান ও জাভেদ আখতারের জীবন ও তাঁদের কাজ নিয়ে তৈরি হওয়া তথ্যচিত্র ‘দ্য অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’। সেই তথ্যচিত্রেই অভিনেতা শচীন পিলগাঁওকরের মুখে শোনা যায় ‘জঞ্জির’ না করার পেছনে দেব আনন্দের যুক্তি।

‘জঞ্জির’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

শচীন জানান, ‘জঞ্জির’–এর গল্প শুনে দেব আনন্দ জানিয়েছিলেন, যেহেতু এই ছবিতে নায়কের মুখে কোনো গান নেই, তাই তিনি এই ছবিতে অভিনয় করবেন না। ‘জুয়েল থিফ’-এর নায়কের যুক্তি ছিল, দর্শক পর্দায় তাঁকে রোমান্স করতে, গান গাইতে দেখতে চান; সেখানে তিনি যদি এসব না করেন, তাহলে দর্শক সিনেমাটি পছন্দ করবেন না।

তবে দেব আনন্দের এই বক্তব্য শোনার পরও পিছু হটেননি ‘জঞ্জির’-এর পরিচালক। সেই জন্য তাঁর উদ্দেশ্যে ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় জাভেদ আখতারের মুখে।

‘জঞ্জির’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

তিনি বলেন, ‘এই ছবিতে যদি অমিতাভের কণ্ঠে দু–তিনটি গান থাকত, তাহলে আর তাঁর “অ্যাংরি ইয়াং ম্যান” হয়ে ওঠা হতো না।’ অন্যদিকে সেলিম খানের কথায়, ‘“জঞ্জির”-এর নায়ক এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, যে ফালতু কথা বলবে না। ছবিতে অন্যরা নাচ, গান, হুল্লোড়ে ব্যস্ত থাকলেও সেসব থেকে বহুদূরে থাকে সেই নায়ক।’

প্রসঙ্গত, দেব আনন্দের এই যুক্তি যে খাটেনি, তা ‘জঞ্জির’-এর সাফল্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।

সত্তরের দশকে বলিপাড়ায় যখন রোমান্টিক নায়কেরা রাজত্ব করছেন, সেই সময় এ ছবির মাধ্যমেই ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ হিসেবে রাতারাতি এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন অমিতাভ বচ্চন। বাকিটা ইতিহাস।