‘সবি আর চৈতন্যকে একসঙ্গে এক সুন্দর অধ্যায় শুরু করতে দেখা আমার জন্য অত্যন্ত বিশেষ এবং আবেগঘন মুহূর্ত। আমার প্রিয় “চায়”-কে শুভেচ্ছা, আর প্রিয় সবিতাকে আমাদের পরিবারে স্বাগত জানাই। আপনি অনেক আগেই আমাদের জীবনে অনেক আনন্দ নিয়ে এসেছেন।’ ছেলে নাগা চৈতন্যর সঙ্গে সবিতা ধুলিপালার বিয়েকে ঘিরে এই আবেগভরা পোস্টটি লিখেছেন দক্ষিণি তারকা নাগার্জুন। এই পোস্টের সঙ্গে নাগা-সবিতার বিয়ের একগুচ্ছ রঙিন ছবি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার রাতে চির বন্ধনে আবদ্ধ হলেন নাগ চৈতন্য ও সবিতা ধুলিপালা। বিয়ের রাতে সোনালি কাঞ্জিভরমে দক্ষিণি কনে রূপে সেজে উঠেছিলেন শোভিতা। গা–ভর্তি সোনার অলংকার আর মাথায় ফুল দিয়ে লম্বা বিনুনিতে এ দিন অপরূপা হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
জানা গেছে, মা আর দাদির সাবেকি দক্ষিণি অলংকারে সেজে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। চৈতন্যের পরনে ছিল সাদা রঙের ঐতিহ্যবাহী ‘পঞ্চা’, সঙ্গে কুর্তা। গলায় ছিল লাল পাড়ের ওড়না। হায়দরাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে এই তারকা জুটির বিয়ের আসর বসেছিল। ১৯৭৬ সালে এই স্টুডিওটি নাগা চৈতন্যর দাদু আক্কেনি নাগেশ্বর রাও নির্মাণ করেছিলেন। তাই আক্কেনি পরিবার বিয়ের জন্য এই বিশেষ স্থানটি বেছে নিয়েছিল। পারিবারিক রীতি অনুযায়ী সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তাঁরা।
নাগা-সবিতার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে আট ঘণ্টা সময় লেগেছিল। এদিন তাঁদের বিয়েকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। নাগার পরিবার থেকে দক্ষিণি সিনেমা দুনিয়ার নামীদামি ব্যক্তিত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এই তালিকায় ছিলেন চিরঞ্জীবী, আল্লু অর্জুন, নয়নতারা, দুগ্গাবতী পরিবার, এনটিআর, রামচরণ-উপাসনা কোনিডেলা, মহেশ বাবু-নম্রতা শিরোদকারসহ আরও অনেকে। পারিবারিক ঐতিহ্য মেনে বিয়ের পর আশীর্বাদ নিতে নাগা-সবিতা তিরুপতি মন্দির অথবা শ্রীশৈলম মন্দিরে যাবেন।
২০২২ সালে নাগা চৈতন্য ও সবিতা একে অপরের প্রেমে পড়েন। এই জুটি তাঁদের বিশেষ সম্পর্ককে সব সময় আড়ালেই রেখেছিলেন। কিন্তু নানা সময়ে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় তাঁরা একসঙ্গে বন্দী হয়েছেন। চলতি বছরের আগস্টে বাগদানের মাধ্যমে নিজেদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন নাগা-সবিতা।
নাগা চৈতন্য দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। এর আগে তিনি দক্ষিণি নায়িকা সামান্থা রুথ প্রভুকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের চার বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।