এ আর রাহমান ও সায়রা বানু। ইনস্টাগ্রাম থেকে
এ আর রাহমান ও সায়রা বানু। ইনস্টাগ্রাম থেকে

সে ছিল সুন্দরী আর বিনয়ী...

গতকালই বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন এ আর রাহমান ও সায়রা বানু। কেন তাঁদের এই বিচ্ছেদ, তা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই চর্চায় রাহমানের পুরোনো একটি সাক্ষাৎকার। নাসরিন মুন্নি কবিরকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয়, বিয়ে নিয়ে কথা বলেছিলেন রাহমান। কী বলেছিলেন তিনি?

‘১৯৯৪ সালে আমার বয়স ছিল ২৭। মনে হয়েছিল, এটাই বিয়ে করার সময়। কোনো একটা কারণে আমার নিজেকে বয়স্ক মনে হচ্ছিল। আমি বরাবরই ছিলাম লাজুক, মেয়েদের সঙ্গে বেশি কথা বলতাম না। এর মধ্যেই এক নারী শিল্পী আমার স্টুডিও কাজ করতে আসেন। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা ছিল কিন্তু কখনোই ভাবিনি, একদিন তিনি আমার স্ত্রী হবেন।’ এভাবেই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন রাহমান।

একই সাক্ষাৎকারে এই সুরকার জানান, তিনি তখন কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সারাক্ষণ কাজে ডুবে থাকতেন, মেয়েদের নিয়ে ভাবতেন না। এরপর কীভাবে সায়রার সঙ্গে বিয়ে হলো?

রাহমানের ভাষ্য, ‘সে ছিল সুন্দরী আর বিনয়ী, প্রথম দেখায় এটাই মনে হয়েছিল। ১৯৯৫ সালের ৬ জানুয়ারি আমার ২৮তম জন্মদিনে তার সঙ্গে কথা হয়। খুবই সংক্ষিপ্ত আলাপ। এরপর বেশির ভাগ সময় আমরা ফোনে কথা বলেছি। সে কচ্ছ আর ইংরেজি বলত। আমি একবার তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, সে আমাকে বিয়ে করবে কি না। সায়রা তখন খুব চুপচাপ ছিল। এখন সে একেবারেই চুপচাপ নয়।’

গতকাল বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে এ আর রাহমান আর সায়রা বানু যে বিবৃতি দিয়েছেন, মোটাদাগে সেখানে কারণ হিসেবে ‘মানসিক দূরত্ব’কে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।