প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হন বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডে। তাঁর কোনো মন্তব্য ঘিরে নেট দুনিয়ায় হুলুস্থুল পড়ে যায়। আগে এ নিয়ে মন খারাপ করতেন অভিনেত্রী। তবে এখন এসব কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনন্যা জানিয়েছেন, তাঁকে নিজের হয়ে দাঁড়াতে, লড়তে আর বলতে সাহস জুগিয়েছেন এক বলিউড অভিনেত্রী।
অনন্যা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম, তখন বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। তখন জানতাম না বলিউডে কীভাবে কাজ করতে হয়। এখানকার কাজের ধরন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলাম না। যে যা বলতেন, তাই মেনে চলতাম। কোনো বিষয়ে নিজের মত ব্যক্ত করতে দ্বিধা করতাম।
কিন্তু এখন এ ক্ষেত্রে অসুবিধা হয় না। কারণ, দীপিকার (পাড়ুকোন) কাছ থেকে এই সাহস পেয়েছি। তাঁর কাছ থেকে শিখেছি নিজের বক্তব্যকে কীভাবে পেশ করতে হয়, নিজের হয়ে কীভাবে রুখে দাঁড়াতে হয়। আমার জীবন ও ক্যারিয়ারের জন্য এটা একটা মূল্যবান শিক্ষা।’
২০২২ সালে শকুন বাত্রা পরিচালিত ‘গেহরাইয়া’ ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে কাজ করেছেন অনন্যা।
সাক্ষাৎকারে অনন্যা ‘গেহরাইয়া’র প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘এই ছবিতে দীপিকা আমার সহশিল্পী ছিলেন। তখন দেখেছি দীপিকা কীভাবে সেটে সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন। অন্যের হয়েও রুখে দাঁড়াতেন তিনি। দীপিকাকে সব সময় অন্যের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দেখেছি।’
এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরও বলেছেন, ‘যখন কোনো নারী নিজের কথা দৃঢ়ভাবে বলেন, তখন তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা করা হয়। তাঁর সঙ্গে নাকি কাজ করা কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু দীপিকা তাঁর প্রয়োজনের কথা বিনয়ের সঙ্গে সবার সামনে বলতেন। তাঁকে দেখে আমি বুঝতে পারি, এভাবেও নিজের প্রয়োজনের কথা বা মত সবার সামনে পেশ করা যায়।’
দীপিকার কাছ থেকে পাওয়া এই আত্মবিশ্বাস অনন্যাকে সিনেমা নির্বাচনেও সাহায্য করেছে। তাঁর ভাষ্যে, ‘দীপিকা আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেন। এই আত্মবিশ্বাস আমাকে ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সাহায্য করছে। আগে আমি “না” বলতে বা কাউকে ফিরিয়ে দিতে পারতাম না। কিন্তু এখন কীভাবে “না’ বলতে হয়, তা আমি শিখে গেছি।’
অনন্যাকে শেষ পর্দায় দেখা গেছে নেটফ্লিক্সের সিটিআরএল ছবিতে। এখন তিনি কল মি বের দ্বিতীয় মৌসুমের শুটিংয়ে ব্যস্ত। শিগগিরই অক্ষয় কুমারের সঙ্গে একটা ছবিতে কাজ করবেন অভিনেত্রী। ধর্মা প্রোডাকশনের চাঁদ মেরা দিল ছবিতেও অনন্যাকে দেখা যাবে।