ভারতে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ হওয়া মানেই যেন হিন্দি সিনেমার দুনিয়ায় তাঁকে নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়া। যেমনটা হয়েছিল মানুষি ছিল্লারকে নিয়েও। ২০১৭ সালে ‘বিশ্বসুন্দরী’র খেতাব জয়ের পর নাম লিখিয়েছিলেন দুটি বলিউড সিনেমায়। করোনা মহামারি তাঁর বলিউড অভিষেক বিলম্বিত করলেও নানা কারণে বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। এবার মানুষি আলোচনায় জাতিসংঘের নারী সুরক্ষার প্রচারণায় শামিল হয়ে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বৈশ্বিক শুভেচ্ছাদূত নিযুক্ত হয়েছেন মানুষি ছিল্লার। সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে নারীদের সুরক্ষার যে প্রচারণা চালাবে, সেখানেই কাজ করবেন অভিনেত্রী। এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের উচ্ছ্বাস গোপন রাখেননি মানুষী।
এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘ইউএনডিপির সঙ্গে যুক্ত হওয়া খুবই সম্মানের, এটি কাজের জন্য একটি বড় সুযোগও বটে। ভারতে নারীদের প্রতি সহিংসতা বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য। আমি বরাবরই নারী অধিকার নিয়ে কথা বলি। কিন্তু নারীদের প্রতি সহিংসতা সমাজ ও নারীরা একরকম মেনেই নিয়েছে, ছোটবেলা থেকে এমনটাই দেখে আসছি।’
এই বার্তায় মানুষি জানান জাতিসংঘের সঙ্গে তাঁর কাজের ধরনও, ‘এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার পরিণতি সম্পর্কে সচেতন করব, সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে উৎসাহিত করব। যদিও মানুষের মানসিকতা বদলাতে অনেক পরিশ্রম করতে হবে, তবে আমাদের উদ্যোগ হতে পারে সেটির জন্য প্রথম পদক্ষেপ।’
বিশ্বজুড়ে প্রতি তিন নারীর একজন তাঁদের জীবনে কখনো না কখনো লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হন। মানুষি জানান, তাঁদের চেষ্টা থাকবে এটি কমিয়ে আনার।
নারী সুরক্ষার এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ছাড়া মানুষি এখন মেতে আছেন বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়েও। ছোটবেলা থেকেই ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির ভক্ত মানুষি। মাঠে বসে তাঁর খেলা দেখতে অভিনেত্রী কাতারে গিয়েছিলেন। উপভোগ করেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডসের খেলাটি।
দর্শকসারিতে বসে মেসির খেলা দেখার আগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন মানুষি, ‘একজন ভক্ত হিসেবে সব সময় স্বপ্ন দেখেছি, সরাসরি মেসির খেলা দেখব। অনেকবার পরিকল্পনা করেছি। এবারের বিশ্বকাপ মেসির শেষ বিশ্বকাপ। মাঠে বসে তাঁর খেলা দেখা আমার জন্য স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো।’
মানুষি অভিনীত প্রথম সিনেমা সম্রাট পৃথ্বীরাজ বক্স অফিসে ফ্লপ করলেও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী অভিনেত্রী। সামনে তাঁকে দেখা যাবে তেহরান ছবিটিতে। এই সিনেমায় তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন জন আব্রাহাম।