৭৩ পেরিয়ে আজ ৭৪-এ পা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন তিনি, হয়ে উঠেছেন ‘মহাগুরু’। ভক্তদের কাছে ডিসকো ড্যান্সার। জন্মদিনে থাকল তাঁর জীবনের অজানা কিছু কথা।
মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর পর্দার নাম। প্রকৃত নাম গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। ১৯৫০ সালের ১৬ জুন এই বাংলাদেশেই তাঁর জন্ম। কোন জেলায় জানেন? বরিশালএকসময় নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে যান মিঠুন। সেখান থেকে ফিরে অভিনয়ে মনোযোগী হনকুস্তিগীর ছিলেন মিঠুন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপ জুনিয়র শাখার বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি মার্শাল আর্টসেও আছে ব্ল্যাক বেল্টমিঠুন চক্রবর্তীকে চলচ্চিত্রে আনেন মৃণাল সেন। তাঁর ‘মৃগয়া’ মিঠুনের প্রথম ছবি। অভিষেকেই পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ায় থাকাকালীনই পরিচালক মৃণাল সেনের নজরে পড়েন মিঠুন। কলেজে মৃণাল সেনের নজর কাড়েন। তার বছর দুয়েক পর ‘মৃগয়া’য় অভিনয়ের সুযোগ পান। প্রথম ছবিতেই সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কারজাতীয় পুরস্কার নিতে দিল্লি যেতে হতো, কিন্তু মিঠুনের কাছে সেই টাকা ছিল না। সেই সময় নাকি মিঠুনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রেখা। শোনা যায়, রেখার এক সিনেমার শুটিং দিল্লিতে হচ্ছিল। নিজের স্পটবয় সাজিয়ে তিনি মিঠুনকে দিল্লি নিয়ে যানজাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরও খালি পেটে দিন কাটাতে হয়েছে মিঠুনকেমুম্বাইয়ে বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। একসময় নাকি কোনো অভিনেত্রী নায়ক মিঠুনের বিপরীতে কাজ করতে রাজি ছিলেন না। এই প্রথা ভাঙেন জিনাত আমান। তিনিই প্রথমবার মূলধারার ছবিতে মিঠুনের নায়িকা হতে একবাক্যে রাজি হয়ে যানমিঠুনকে নিয়ে বানানো হয়েছে কমিক বই। বইয়ের নাম ‘জিমি জিংচ্যাক’, ‘এজেন্ট অব ডিস্কো’এক বছরে সবচেয়ে বেশি ছবি মুক্তির রেকর্ডও মিঠুনের। ১৯৮৯ সালে তাঁর ১৯টি ছবি মুক্তি পায়।প্রাণিপ্রেমী মিঠুনের বাড়িতে ৭০টির বেশি কুকুর আছে। আছে পাখিওরুশ তরুণীদের কাছে মিঠুন চক্রবর্তী ভীষণ জনপ্রিয়। ‘ডিসকো ড্যান্সার’ ছবির গানে মাত রুশরা।বাংলাভাষী মিঠুন অভিনয় করেছেন হিন্দি, পাঞ্জাবি, ওড়িয়া, ভোজপুরি, তামিল, তেলেগু, কন্নড় ছবিতেওজন্মদিনে কোনো আড়ম্বর পছন্দ করেন না মিঠুন। এদিন কোনো উদ্যাপন নাকি পছন্দ নয় তাঁর। কেকও কাটতে চান না।খুব ভালো রান্না করেন অভিনেতা। জন্মদিনে সাধারণত পরিবারের সদস্যদের রান্না করে খাওয়ান