টাবু। ইনস্টাগ্রাম থেকে
টাবু। ইনস্টাগ্রাম থেকে

গোপন ডায়েরি কি প্রকাশ করবেন টাবু

সেই কবে দেব আনন্দের ‘হাম নওজয়ান’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন টাবু। তখন তিনি কিশোরী। এরপর পেরিয়ে গেছে চার দশকের বেশি সময়। ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির পর ভারতের বিভিন্ন ভাষায় নানা ধরনের সিনেমায় দেখা গেছে তাঁকে। আজ এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে তৎকালীন অন্ধ্র প্রদেশে (বর্তমানে তেলেঙ্গানা) জন্ম হয় অভিনেত্রীর। ২০১৯ সালে প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়েছিলেন টাবু। অভিনেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সেই সাক্ষাৎকার অবলম্বনে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

গুলজার থেকে শুরু করে এ প্রজন্মের পরিচালকদের সঙ্গেও সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন টাবু। শৈল্পিক ধারার সিনেমার সঙ্গে বাণিজ্যিক সিনেমাতেও সমানতালে দেখা গেছে তাঁকে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে হিন্দি সিনেমার কতটা বদল হয়েছে। কতটা বদলেছে বলিউডের পরিচালনার ধরন?

এ প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমি যখন সিনেমার জগতে আসি, তখন গুলজার সাহেব, জে পি দত্ত আমার থেকে বয়সে বড়। আর এখনকার পরিচালকেরা আমার বয়সী কিংবা আমার চেয়ে ছোট। তাই তাদের সঙ্গে আমার রসায়ন ভিন্ন। তবে এখনকার বা তখনকার পরিচালক নয়, প্রত্যেক পরিচালকের কাজের ধরন আলাদা। গুলজার, জে পি দত্ত, মনিরত্নম, সুরজ বরজাতিয়া, ডেভিড ধাওয়ান, মহেশ মঞ্জরেকর—প্রত্যেকে প্রত্যেকের চেয়ে আলাদা।

টাবু। ইনস্টাগ্রাম থেকে

কেউ ভালোবেসে কাজ করান, আবার কেউ একটু দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করান। একেকজন পরিচালক একেক রকমভাবে অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন। আমি বিষয়টি উপভোগ করি।’

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টাবু। একবার যে চরিত্রে অভিনয় করেন, তা আর দ্বিতীয়বার করেন না। তবে কিছু চরিত্র আছে, যা তাঁর হৃদয়ের খুব কাছের। এর মধ্যে ‘হু তু তু’, ‘মকবুল’, ‘অস্তিত্ব’, ‘হায়দার’, ‘মাচিস’—এসব ছবির চরিত্রগুলো তাঁর খুবই প্রিয়।

টাবু। ইনস্টাগ্রাম থেকে

গুলজার, মনিরত্নম ও বিশাল ভরদ্বাজের সঙ্গে বিভিন্ন সিনেমায় কাজ তাঁর ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘গুলজার সাহেব, মনিরত্নমের কথা বলব। তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। বিশালের (ভরদ্বাজ) সঙ্গে আমার দারুণ কাজের সম্পর্ক। তবে আমি প্রত্যেক পরিচালকের থেকে কিছু না কিছু শিখেছি। জীবনের প্রতিটি অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছি। “হায়দার”-এর পর “গোলমাল অ্যাগেইন” এবং “দৃশ্যম”-এর মতো ছবি করেছি। “গোলমাল অ্যাগেইন” করতে গিয়ে একঝাঁক দুর্দান্ত অভিনেতার কাছ থেকে কমেডি অভিনয়ের অনেক কিছু শিখেছি। মূলত মানুষ জীবনের প্রতিটি অভিজ্ঞতা থেকে কিছু না কিছু শেখার সুযোগ পায়। সেই সুযোগ খুঁজে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদেরই।’

টাবুর ব্যক্তিজীবন নিয়ে অনেক রহস্য। তাঁকে নিয়ে নানা ধরনের গুজব চালু আছে। শোনা যায়, তিনি নিয়মিত ডায়েরি লেখেন। সেই ডায়েরি কখনো প্রকাশিত হবে? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে কিছু প্রকাশক আছেন, যাঁরা এটা প্রকাশ করতে চান। আমার মধ্যে যখন সাহস আসবে, তখনই ডায়েরিটা প্রকাশ করব।’

সর্বশেষ টাবু আলোচনায় এসেছেন বিশাল ভরদ্বাজের ওয়েব ফিল্ম ‘খুফিয়া’ দিয়ে। গত অক্টোবরে নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর প্রশংসিত হয় সিনেমাটি। এ সিনেমায় বাংলাদেশি অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের সঙ্গে তাঁর রসায়ন মুগ্ধ করে সিনেমাপ্রেমীদের।