অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর জনপ্রিয় সিরিজ ‘মির্জাপুর’-এর তৃতীয় মৌসুমে ‘কালীন ভাইয়ার’ চরিত্রে আবার দেখা গেছে পঙ্কজ ত্রিপাঠিকে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘স্ত্রী ২’ সিনেমা। সাম্প্রতিক কাজসহ নানা প্রসঙ্গে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি দেবারতি ভট্টাচার্য
‘কালীন ভাইয়া’ কখনো হতাশ করেন না। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে আলোচিত সিরিজ ‘মির্জাপুর’ যাঁরা দেখেছেন, ‘কালীন ভাইয়া’কে তাঁরা ভালোই চেনেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সিরিজটির তৃতীয় মৌসুম। আলাপের শুরুতেই অভিনেতা জানালেন, ‘মির্জাপুর’ তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজের পর আমি অনেক বেশি পরিচিতি পেয়েছি। “মির্জাপুর”-এর পর থেকে আমাকে “স্টার কাস্ট” বলা হচ্ছে। আগে আমি শুধু “কাস্ট” ছিলাম। দর্শকই বলবেন, আমি অভিনেতা, নাকি তারকা।’
পঙ্কজের জীবনজুড়ে শুধুই সিনেমা। কিন্তু তিনি নিজে খুব একটা ছবি দেখেন না। এমনকি নিজের অভিনীত ছবিও দেখেন না এই বলিউড তারকা। কারণ জানতে চাইলে অভিনেতা বলেন, ‘আসলে আমি নিজের বড় সমালোচক। আমার অভিনীত ছবি দেখতে বসলে প্রচুর ভুলত্রুটি খুঁজে বের করি। অন্য কেউ আমার প্রশংসা করলে সহজে খুশি হই না, আবার কারও সমালোচনায় তাড়াতাড়ি ভেঙেও পড়ি না।’
একই প্রসঙ্গে পঙ্কজ হেসে বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক আমার বাড়িতেই আছেন। তিনি হলেন আমার স্ত্রী।’
পঙ্কজ জানান, যেকোনো দৃশ্যের পর তিনি মনিটর পর্যন্ত দেখেন না। তাঁর কথায়, ‘পরিচালক যখন সন্তুষ্ট হন, তা আমার জন্য যথেষ্ট। মনিটর না দেখে আমি পরিচালকের চোখ দেখি। আর পরিচালকের চোখ দেখে বুঝে যাই যে আমি ঠিকঠাকমতো শট দিয়েছি কিনা। এমনকি মেকআপের পর আমি আয়না পর্যন্ত দেখি না। আমার প্রসাধনশিল্পী যখন বলেন সব ঠিকঠাক আছে, তখন আর আয়না দেখার প্রয়োজন পড়ে না।’কখনো ওটিটিতে, কখনো বড় পর্দায় দেখা যায় পঙ্কজকে। বড় পর্দায় তাঁকে শেষ দেখা গেছে ‘ম্যায় অটল হুঁ’ ছবিতে। এই ছবিতে তিনি ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারির বাজপেয়ীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একের পর এক প্রকল্পের কারণে দম ফেলার ফুরসত নেই তাঁর।
অভিনেতা জানান, একটি চরিত্র থেকে বের হয়ে পরবর্তী চরিত্রের মতো হয়ে উঠতে অনেক সময় তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ‘একের পর এক প্রকল্পে কাজ করার ফলে অনেক সময় সমস্যা হয়। তাই একটি প্রকল্প আর তার পরবর্তী প্রকল্পের মধ্যে ১৫-২০ দিনের বিরতির প্রয়োজন।
অটল ছবির শুটিং শেষ করে সকালে সোজা “স্ত্রী ২” ছবির সেটে গিয়েছিলাম। প্রথম টেকের পর পরিচালক অমর কৌশিক বলেন যে আমাকে দেখে “অটল” বলে মনে হচ্ছে। আমি কিছুতেই “স্ত্রী” ছবির “রুদ্র” হয়ে উঠতে পারছিলাম না। সেদিন হোটেলে ফিরে বিশ্রাম নিয়েছিলাম। পরের দিন ঠিকঠাকমতো শট দিয়েছিলাম।
এমনকি “কালীন ভাইয়া” হয়ে উঠতে শুরুতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল,’ বলেন অভিনেতা।যেকোনো চরিত্রে পর্দায় পুরোপুরি তারই মতো হয়ে ওঠেন পঙ্কজ।
চরিত্রের প্রস্তুতির প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘কোনো চরিত্রে অভিনয়ের আগে আমি সেই চরিত্রটা নিয়ে পড়াশোনা করি, অনেক ভাবনাচিন্তা করি। বাকিটা পরিচালকের ওপর ছেড়ে দিই। প্রশিক্ষণ নিয়ে অভিনয়ে এসেছি। তাই খুব একটা অসুবিধা হয় না।’ভবিষ্যতে কখনো কি পরিচালকের ভূমিকায় দেখা যাবে? এমন প্রশ্নে পঙ্কজ বলেন, ‘অভিনয়ের কাজ এখনো ঠিকঠাক চলছে। এদিকে বেগতিক দেখলে তখন না হয় পরিচালনার কথা ভাবব। এখন মন দিয়ে অভিনয়টা করে যেতে চাই।’