৩০ বছর বয়সে যেভাবে ৩০০ কোটি টাকার মালিক

আলিয়া ভাট
ফেসবুক থেকে নেওয়া

ক্যারিয়ারে শুরুর দিকে অনেক সময় ধরে তাঁকে লড়াই করতে হয়েছে ‘স্বজনপ্রীতি বিতর্ক’ নিয়ে। মহেশ ভাটের মেয়ে বলেই করণ জোহর সুযোগ দিয়েছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হরহামেশাই দেখা যেত এমন পোস্ট। তবে অভিষেকের ১১ বছর পর এ ধরনের কথা হয় কমই। নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সব বিতর্ক ভুলিয়ে দিয়েছেন তিনি। জিতেছেন পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। এক দশকের বেশি সময় ধরে হিন্দি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত আলিয়ার মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ২২৯ কোটি রুপি (প্রায় ৩০০ কোটি টাকা)। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন আলিয়া? ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস অবলম্বনে সেটেই জেনে নেওয়া যাক।

সিনেমা
আলিয়া ভাট অভিনেত্রী, ফলে তাঁর আয়ের বড় অংশ আসে অভিনয়ের পারিশ্রমিক থেকেই। ২০১২ সালে প্রথম সিনেমা ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এর জন্য ১৫ লাখ রুপি পেয়েছিলেন তিনি, এখন ছবি প্রতি ১০ থেকে ১২ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন আলিয়া। তবে সিনেমা থেকে সিনেমায় এটা ওঠা–নামা করে।

যেমন গত বছর মুক্তি পাওয়া ব্যবসাসফল ও প্রশংসিত সিনেমা ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাড়ি’র জন্য পেয়েছেন ২০ কোটি রুপি।

আলিয়া ভাট

বিজ্ঞাপন
ভারতের বিজ্ঞাপনের বাজারে অন্যতম কাঙ্ক্ষিত তারকা আলিয়া ভাট। প্রতিটি বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য আড়াই থেকে তিন কোটি রুপি নেন তিনি। এ ছাড়া কোনো পণ্যের যদি শুভেচ্ছাদূত, তাদের পণ্যের প্রচারে যদি হাজির থাকতে হয়; তাহলে পারিশ্রমিক আরও বাড়ে।

নিজের ব্র্যান্ড
গত বছর আলিয়া ভাট প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘ডার্লিংস’ মুক্তি পায়। চলচ্চিত্র প্রযোজনা ছাড়া পোশাক ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত আলিয়া। জানা গেছে, নিজের পোশাক ব্র্যান্ডে ৫ কোটি রুপি বিনিয়োগ করে দশ গুণ মুনাফা করেছেন আলিয়া। তাঁর এই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রায় দেড় শ কোটি রুপি।

মুম্বাইয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আলিয়া ভাট

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
আলিয়া ভাটের আয়ের বড় উৎস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপনী পোস্টের জন্য ৮৫ লাখ থেকে ১ কোটি রুপি নেন আলিয়া।

যা আছে আলিয়ার
মুম্বাইতে আলিয়ার দুটি ফ্ল্যাট আছে, লন্ডনেও আছে বাড়ি। মুম্বাইতে আলিয়ার দুই ফ্ল্যাটের দাম যথাক্রমে ১৩ ও ৩২ কোটি রুপি। লন্ডনের বাড়িটির মূল্য নাকি প্রায় ৪০ কোটি রুপি। এ ছাড়া আলিয়ার গ্যারেজে চারটি গাড়ি আছে—বিএমডব্লিউ, অডি, রেঞ্জ রোভার ব্র্যান্ডের গাড়িগুলোর দাম প্রায় ৮ কোটি রুপি।