ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রধান চরিত্রে সুযোগ পাননি সঞ্জনা সাংঘি। ‘দিল বেচারা’ ছবির মাধ্যমে প্রথম নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। কোভিডের সময় মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। সম্প্রতি সঞ্জনা জানিয়েছেন যে কোভিডের পর থেকে জীবন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।
সঞ্জনাকে শেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ‘ধক ধক’ ছবিতে। গত বছর মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। এ ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফাতিমা সানা শেখ, দিয়া মির্জা, রত্না পাঠক শাহর মতো অভিনেত্রীরা। এদিকে তিনি ওটিটিতে এসেছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠির সঙ্গে ‘কড়ক সিং’ ছবিতে। তাঁকে সব সময় দারুণ দারুণ প্রকল্পে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘এগুলো ছাড়া আমার কাছে আরও দুর্দান্ত সব চিত্রনাট্য এসেছিল। কিন্তু এসব প্রকল্পকে না বলা আমার জন্য বেশ কঠিন ছিল। আপনার কাছে সীমিত সময়, সক্ষমতাও কম। এর মধ্য থেকে সেরাটা বেছে নিতে হয়।’
আমি এখন এমন ছবিতে আসতে চাই, যার মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারব। আমি কখনোই শুধু কনটেন্টধর্মী ছবিতে কাজ করতে চাই না। নাচ-গানে ভরপুর বিনোদনমূলক ছবির অংশ হতে পারলেও আমি খুশি। আমার আকাঙ্ক্ষা, দেশের অগণিত মানুষের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। তবে ব্যবসায়িক ও কনটেন্ট—দুই ধরনের ছবির জন্য আমি তৈরি।সঞ্জনা সাংঘি
‘ধক ধক’ ছবির অংশ হতে পেরে দারুণ উৎফুল্ল সঞ্জনা। তাঁর কথায়, ‘বিভিন্ন প্রজন্মের নারীরা একসঙ্গে এই ছবিতে কাজ করেছি।
এ রকম এক অভিনব ছবি নির্মাণের কৃতিত্ব আমি পরিচালক তরুণ দুদেজাকে দিতে চাই। আমাদের প্রত্যেকের নিজেদের অভিনীত চরিত্রের প্রতি আস্থা ছিল। চরিত্রগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। আর দর্শক চরিত্রগুলোর সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠেছিলেন।’
সঞ্জনা জানান, কোভিডের পর থেকে বিনোদন–দুনিয়ায় অনেক বদল এসেছে। তিনি বলেছেন, ‘কোনো ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে।
ওটিটি কনটেন্টেরই এখন দাপট বেশি। এ রকম এক অস্থির পরিবেশে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলা এখন মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ আমাদের বয়সী অভিনেত্রীদের জন্য। তাই ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি পারদর্শী ও বিচক্ষণ হতে হবে।’
একই বিষয়ে এই অভিনেত্রী আরও বলেছেন, ‘আমি এখন এমন ছবিতে আসতে চাই, যার মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারব। আমি কখনোই শুধু কনটেন্টধর্মী ছবিতে কাজ করতে চাই না।
নাচ-গানে ভরপুর বিনোদনমূলক ছবির অংশ হতে পারলেও আমি খুশি। আমার আকাঙ্ক্ষা, দেশের অগণিত মানুষের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। তবে ব্যবসায়িক ও কনটেন্ট—দুই ধরনের ছবির জন্য আমি তৈরি।’