মাতৃত্ব যেমন মধুর, তেমনি আবার এই সময়টাতে নতুন মাকে সীমাহীন কষ্টের মধ্যেও যেতে হয়। সেই সংগ্রামের কথাই এবার সবাইকে জানালেন অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে। এই অভিনেত্রী সব ক্ষেত্রেই ছক ভেঙেছেন, সেটি অভিনয়ে হোক কিংবা সিনেমা বাছাইয়ে হোক। এ কারণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিও নিজের মতো করেই ভক্তদের কানে পৌঁছে দিয়েছেন রাধিকা। লন্ডনের এক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রকাশ্যে এসেছে রাধিকার বেবিবাম্পের ছবিও।
রাধিকার স্বামী ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী ও সুরকার বেনেডিক্ট টেলর। বিয়ের ১২ বছর পর মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী। শুধু তা–ই নয়, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তনও এসেছে অভিনেত্রীর।
যদিও সন্তান নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই ছিল না বলেই জানান রাধিকা। এ কারণে বিষয়টি মানতে সময় লেগেছিল প্রথম দুই সপ্তাহ। সেই সঙ্গে শুরুর দিকে মায়েদের কেমন কষ্ট হয়, সেটিও স্পষ্ট ভাষায় জানান তিনি।
অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময় খুব কঠিন এবং কষ্টকর, সেটি আসলে কেউ বলে না। কিছু মানুষের হয়তো তেমন সমস্যা হয় না। তবে সন্তানধারণ করা খুব কঠিন বিষয় এবং শরীরে মারাত্মক পরিবর্তন আসেরাধিকা আপ্তে
অভিনেত্রী বলেন, পেট ফেঁপে ওঠা, কোষ্ঠকাঠিন্যে প্রথম ১৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ভীষণ কষ্টে ছিলেন। সব সময় বমি বমি ভাবের বিষয়টি তো আছেই। যদিও শারীরিক কষ্ট থাকলেও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী। টানা তিন মাস ৪০ ডিগ্রি গরমে ছবির শুটিং করেন।
রাধিকা বলেন, ‘গরমে গলে যাওয়ার মতো অবস্থা হতো। খুব কষ্ট হয়েছিল। সবাই বলত আমার সব সময়ে আনন্দে থাকা উচিত। কারণ, আমি মা হতে চলেছি। তাদের বলতাম, আমি যন্ত্রণায় মরে যাচ্ছি, আর তোমরা খুশি থাকতে বলছ!’
তিনি বলেন, অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময় খুব কঠিন এবং কষ্টকর, সেটি আসলে কেউ বলে না। এই সফর মোটেও মজা করে কাটানো যায় না। কিছু মানুষের হয়তো তেমন সমস্যা হয় না। তবে সন্তানধারণ করা খুব কঠিন বিষয় এবং শরীরে মারাত্মক পরিবর্তন আসে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দুটি সিনেমার কাজ করেছেন রাধিকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ঘর আলো করে আসবে রাধিকা–বেনেডিক্টের সন্তান।