কয়েক দিন আগেই সালমান খান বলেছিলেন, তাঁর সিনেমা দর্শক এখনো দেখেন। তার প্রমাণ হতে পারে সর্বশেষ সিনেমা ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। ছবিটি নিয়ে সমালোচকদের মতো ইতিবাচক না হলেও বক্স অফিসে মোটামুটি ভালো ব্যবসা করেছে ছবিটি। মুক্তির পর ১০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে। আগের মতো ব্যাপক হিট না হলেও সিনেমাটি দিয়ে ১০০ কোটি ব্যবসার রেকর্ড ধরে রাখলেন অভিনেতা।
২০১০ সালে ‘দাবাং’ দিয়ে ১০০ কোটি রুপির ক্লাবে প্রথমবার প্রবেশ করেছিলেন সালমান। এরপর টানা ১৫টি সিনেমা সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এর মধ্যে ৩টি ২০০ কোটি রুপি আর ৩টি ৩০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যায়। এরপরই ছন্দপতন—‘অন্তিম’ ও ‘রাঁধে’ সুপার ফ্লপ। কিন্তু তিনি আবার ফিরে এসেছেন এই ঈদে ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ দিয়ে।
‘বজরঙ্গি ভাইজান’, ‘সুলতান’, ‘টাইগার জিন্দা হ্যাঁয়’—এ তিনটি সিনেমা সালমান খানকে পৌঁছে দেয় ৩০০ কোটির ক্লাবে।
সিনেমাগুলো যথাক্রমে ৩২১, ৩০১ ও ৩৩৯ কোটি রুপি আয় করে, ২০০ কোটির ক্লাবে রয়েছে ‘কিক’, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’, ‘ভারত’। যথাক্রমে ২৩২, ২১০ ও ২১২ কোটি রুপি আয় করে সিনেমাগুলো।
১০০ কোটি রুপির ক্লাবে প্রবেশ করেছেন যে ‘দাবাং’ দিয়ে, সে সিনেমাটি আয় করেছে ১৩৯ কোটি রুপি। এরপর রয়েছে ‘রেডি’ ১২০, ‘বডিগার্ড’ ১৪৯, ‘এক থা টাইগার’ ১৯৯, ‘দাবা ২’ ১৫৬, ‘জয় হো’ ১১৫, ‘টিউবলাইট’ ১২০, ‘রেস ৩’ ১৬৯, ‘দাবাং ৩’ ১০০ কোটি রুপি আয় করে। এই ক্লাবে সর্বশেষ সংযোজন ‘কিসি কা ভাই কিসি কা জান’।
এ তো শুধু ভারতের বক্স অফিসের হিসাব। এই সিনেমাগুলোর মধ্যে কয়েকটি সিনেমা ভারতের বাইরে আরও বেশি আয় করে। তবে ‘অন্তিম’ ও ‘রাঁধে’ ফ্লপ না হলে রেকর্ডটি আরও সমৃদ্ধ হতো।
তবে এখন যা হয়েছে সেটিও খারাপ না। তাঁর সর্বশেষ ১৮টি সিনেমার মধ্যে ১৬টি ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে। যে কীর্তি নেই অন্য কোনো বলিউড অভিনেতার। ‘পাঠান’ দিয়ে হাজার কোটির ক্লাবে প্রবেশ করলেও শাহরুখের মাত্র ৬টি সিনেমা ১০০ কোটি আয় করতে পেরেছে। এ ছাড়া অক্ষয় কুমারের ৬টি, অজয় দেবগনের ৫টি, আমির খান ও রণবীর সিংয়ের ৪টি করে সিনেমা এই ক্লাবে প্রবেশ করেছে।
সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা বক্স অফিস