‘আমার ক্লায়েন্ট নোরার বিরুদ্ধে জনসমক্ষে কোনো বিবৃতি দেননি। তাই আমরা এ ধরনের কোনো খবর নিশ্চিত করতে পারছি না। শুধু এটা বলতে পারি যে জ্যাকুলিন কখনো ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট বা সোশ্যাল মিডিয়ার কারও বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি দেননি। তিনি মামলার বিষয়ে সর্বদা একটি মর্যাদাপূর্ণ নীরবতা বজায় রেখে চলেছেন। কারণ, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তবে তার মানে এই নয় যে কেউ চাইলেই তাঁকে যেকোনো অযৌক্তিক আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে টেনে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে তিনি নির্দোষ।’ আদালতে জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে নোরার অভিযোগের জবাবে এ কথাগুলো বলেন জ্যাকুলিনের আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল।
মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক শ কোটি রুপি নেওয়ার অভিযোগ সুকেশের বিরুদ্ধে। সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ২০০ কোটি রুপির আর্থিক জালিয়াতি মামলার চার্জশিটেও নাম উঠেছে জ্যাকুলিনের। অবৈধ টাকায় জ্যাকুলিন ও তাঁর পরিবারকে দামি উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ।
এ মামলায় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির নামও জড়িয়েছিল। সেই মামলায় নোরা প্রাথমিক মুক্তি পেয়েছেন। তবে জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে এখনো মামলা চলছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন নোরা ফাতেহি। গত সপ্তাহে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নামে করা মানহানির মামলায় নিজের বয়ান রেকর্ড দেন নোরা ফাতেহি। তিনি দাবি করেছেন, জ্যাকুলিন তাঁর নামে মিথ্যা কথা ছড়িয়ে জনসাধারণের চোখে তাঁর খ্যাতি কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন। তবে এবার নোরার অভিযোগের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলেন জ্যাকুলিনের আইনজীবীরা। নোরার এ বক্তব্যের ভিত্তিতে সরব হলেন জ্যাকুলিনের আইনজীবীরা।
এর আগে জ্যাকুলিনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সুকেশের চর্চিত বান্ধবী জ্যাকুলিনের পক্ষ থেকে নাকি নোরার কাছে অনুরোধ গিয়েছিল মানহানির মামলা বা আদালতে না গিয়ে মুখোমুখি বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার। তবে তাতে সাড়া দেননি নোরা। তিনি বারবার দাবি করে আসছেন, সুকেশ তাঁকে প্রেমিক হওয়ার শর্তে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি রাজি হননি।
মানি লন্ডারিং ও চাঁদাবাজির মামলায় নোরা ফাতেহি গত সোমবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির হন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কপিল গোপ্তার সামনে তিনি তাঁর বক্তব্য পেশ করেন। নোরা আদালতে জ্যাকুলিন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘মিডিয়া আমাকে অযথা এখানে জড়িয়েছে।’
তিনি জানান, সুকেশের সঙ্গে তাঁর সরাসরি কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে পিঙ্কি ইরানি যোগাযোগ করেন এবং তাঁকে গাড়ি, বাড়িসহ বিলাসবহুল জীবন দিতে চান। তবে এ জন্য নোরাকে দিয়েছিলেন সুকেশের প্রেমিকা হওয়ার শর্ত। প্রেমিকা হলে সুকেশ তাঁকে বিলাসবহুল জীবন উপহার দেবেন। যদিও নোরার বিরুদ্ধে সুকেশের কাছ থেকে দামি উপহার নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে নোরা বলছেন, সুকেশকে তিনি চেনেন না। তিনি শুধু এই চক্রের শিকার।