‘এমন বহুমুখী প্রতিভার অভিনেতার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ ছিল স্বপ্নের মতো’

বলা যায়, প্রথম সিনেমা দিয়েই বাজিমাত করেন তিনি। সিনেমার নাম ছিল ‘অঙ্কুর’। ১৯৭৪ সালে বলিউডে মুক্তি পায়। জুটে যায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বলিউড এই যাত্রার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। তিনি অভিনেত্রী শাবানা আজমি। তিনি ৭৪ বছর বয়সে পা দিলেন। ছবিতে দেখে নিতে পারেন তাঁর জানা-অজানা তথ্যগুলো-
সেই সময় নারীদের অভিনয়ে পা রাখা সহজ কাজ ছিল না, তবে তিনি সিনেমা দেখতে পছন্দ করতেন। পরবর্তী সময় গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জয়া বচ্চনই তাঁকে অভিনয়ে আসার সাহস জুগিয়েছেন। জয়ার অভিনয় তাঁর অনেক পছন্দের। তাঁকে সামনে রেখেই সিনেমায় কাজ করে গিয়েছেন।
 ছবি: ইনস্টাগ্রাম
এ বছর তাঁর ক্যারিয়ার ৫০ বছরে পড়ল। দীর্ঘ এই সময়ে ১৬৮টি সিনেমা, সিরিজ ও টেলিভিশন প্রোডাকশনে অভিনয় করেছেন। ক্যারিয়ারের কিছু কাজের সুযোগ পাওয়া ছিল স্বপ্নের মতো। তিনি রাজেশ খান্নার সঙ্গে সাতটি ব্যবসাসফল সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শাবানা আজমি বলেছিলেন, ‘এমন সুদর্শন, বহুমুখী প্রতিভার অভিনেতার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ ছিল স্বপ্নের মতো।’ একসঙ্গে অভিনয়ের সময়ে তাঁদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া হয়।
তিনি সম্মানজনক কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম ভারতীয় কোনো অভিনেত্রী হিসেবে জুরির দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনে নারীদের জন্য প্রেরণা হিসেবে দেখা হতো ঘটনাটিকে। সব সময় নারীদের নিয়ে কথাও বলেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
শাবানার জীবনে একসময় অভিনয়ের চেয়েও বেশি আলোচনায় জায়গা করে নেয় ‘সম্পর্ক’। ক্যারিয়ার যখন আলোচনায়, তখন শোনা গিয়েছিল, তিনি পরিচালকের প্রেমে পড়েছেন। শেখর কাপুরের সঙ্গেই নাকি সম্পর্ক, তবে বেশি দিন তা স্থায়ী হয়নি। এসব নিয়ে আর কথাও বলতেন না একসময়। পরবর্তী সময় গীতিকার জাভেদ আখতারকে বিয়ে করেন শাবানা।
হায়দরাবাদের মুসলিম পরিবারে ১৯৫০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন শাবানা আজমি। ক্যারিয়ারে পাঁচবার পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ ছাড়া পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ছবি: এএফপি