রুপালি পর্দায় অনেক খলনায়কের রাতের ঘুম তিনি কেড়ে নিয়েছেন। এবার তাঁরই রাতের ঘুম প্রায় যেতে বসেছে। কিছুতেই যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন না বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। বলিউড ভাইজানের ‘জান’ বাঁচাতে এখন তাঁর বাসার বাইরে রীতিমতো ভিড় করছে পুলিশ। তাঁকে আবারও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে!
এর আগে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হুমকি ভরা চিঠি পেয়ে রাতের ঘুম ছুটে গিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ প্রশাসনের। ১৮ মার্চ আবার নতুন উৎপাত। সালমান খানের ব্যবস্থাপক প্রশান্ত গুঞ্জলকারের কাছে এক ই-মেইল এসেছে। এই মেইলটি মোহিত গর্গ নামের এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে এসেছে। সালমানের সঙ্গে কথা বলার দাবি তোলা হয়েছে এই মেইলে। ই-মেইলে লেখা আছে, ‘গোল্ডি বরাড় তোর বস মানে সালমানের সঙ্গে কথা বলতে চাই। ওকে হিসাব-নিকাশের নিষ্পত্তি করতে হলে কথা বলতে বলিস। সময় থাকতে থাকতে জানিয়ে দিলাম। মুখোমুখি কথা বলবে কি না, সেটাও জানিয়ে দিস। সময় পার হয়ে গেলে কিন্তু আর ভাবব না। পরেরবার শুধু ভয়ংকর রূপ দেখবে।’
এই হুমকি ভরা ই-মেইল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালমানের ব্যবস্থাপক প্রশান্ত মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করেছেন। এই মামলার গভীরতা আর ভাইজানের সুরক্ষার কারণে বান্দ্রা পুলিশ আইপিসির ধারা ৫০৬ (২), ১২০ (বি), এবং ৩৪ অনুযায়ী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি বরাড়, আর রোহিত বরাডের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
আর পাশাপাশি সালমানের বান্দ্রার বাসা ‘গ্যালাক্সি’ আবাসনের বাইরে কড়া সুরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করেছে মুম্বাই পুলিশ। গতকাল থেকে এই সুরক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত জোরদার করা হয়েছে। রাতভর তাঁর আবাসনের বাইরে পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে। গ্যালাক্সির বাইরে পুলিশের গাড়ির সারি। প্রতিদিন সালমানের বাসার বাইরে তাঁর অগণিত ভক্তরা ভিড় করেন। কিন্তু পুলিশ গ্যালাক্সির ত্রিসীমানায় অপরিচিত কাউকে ঘেঁষতে দিচ্ছে না।
দিন কয়েক আগেই লরেন্স বিষ্ণোই জেলে বসে এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সালমান খানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।
এক চ্যানেলকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে লরেন্স ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণকায় হরিণ হত্যা মামলার কারণে সালমানকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের সময় লরেন্স বিষ্ণোই ভাইজানের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সালমানকে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে এর পরিণতি তাঁকে ভুগতে হবে।
কৃষ্ণকায় হরিণ হত্যা মামলায় আমি ছোটবেলা থেকেই সালমানের ওপর ক্রুদ্ধ। তিনি আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়েছিলেন।’
এই সাক্ষাৎকারে লরেন্স বিষ্ণোই বলেছেন যে সালমানকে হত্যা করাই তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। মোহিত গর্গের পাঠানো ই-মেইলে এই সাক্ষাৎকারের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
সালমানকে হত্যা করার পরিকল্পনা এর আগে একাধিকবার হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই কোনো না কোনো কারণে সেই সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।