আপাতত মিঠুন চক্রবর্তীর ভক্তদের জন্য সুখবর। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন প্রিয় অভিনেতা। সোমবার দুপুরে তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে মিঠুন জানান, তিনি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন। এখন কোনো সমস্যা নেই। তবে সমস্যার কারণও উল্লেখ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে পুরোদস্তুর প্রচার করবেন।
আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে মিঠুন বলেন, ‘আসলে আমার কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা খাওয়াতে। আমি গোগ্রাসে খাই।’ একপর্যায়ে ডায়াবেটিস রোগীদেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সাবধান। যাঁদের ডায়াবেটিস, ভাববেন না মিষ্টি না খেলে কিছু হবে না। খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন।’ নিজের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমার সমস্যা, বেশি খেয়েছি। আমি রাক্ষস। বকা খেলাম ডাক্তার বাবুদের!’ তবে এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ, সে কথাও জানিয়েছেন।
গতকাল রোববারই জানাগেছে মিঠুন চক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ভৌমিকের তত্ত্বাবধানে যে মেডিকেল টিম মিঠুন চক্রবর্তীকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন, তাঁরা জানাচ্ছেন, গত শনিবার রাতে মোটামুটি ভালোই ঘুমিয়েছেন মিঠুন। এদিন সকালে স্বাভাবিক নাশতা দেওয়া হয়েছে মিঠুনকে।
গতকাল বিকেলে বার্তা সংস্থা এএনআই ছাড়াও বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের বিছানায় শোয়া মিঠুন চক্রবর্তীর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পরে। বাবার অসুস্থতার কথা শোনার পর, শনিবার দুপুরেই মুম্বাই থেকে কলকাতায় পৌঁছান মিঠুন চক্রবর্তীর বড় ছেলে মিমো চক্রবর্তী। তখন থেকেই অ্যাপোলো হসপিটালে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গেই রয়েছেন মিমো।
শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের মেডিকেল বুলেটিনে মিঠুন চক্রবর্তীর ইস্কেমিক সেরেব্রোভাস্কুলার অ্যাক্সিডেন্ট বা ব্রেন স্ট্রোকের উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল মিঠুন চক্রবর্তীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার খবর শোনা গেলেও গতকাল মিঠুন চক্রবর্তীকে হাসপাতালেই বিশেষ পর্যবেক্ষণ রেখে দেওয়া হয়েছে। যে বিশেষ মেডিকেল টিম মিঠুন চক্রবর্তীকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন, তাঁরা আরও কয়েক দিন মিঠুন চক্রবর্তীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে চান।
যদিও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মুম্বাই থেকে কলকাতায় পৌঁছানো মিমো বাবাকে নিয়ে মুম্বাই নিয়ে যেতে চান। মিঠুনের পরিবার চায়, অভিনেতাকে মুম্বাইতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে।
গতকাল হাসপাতালে মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে এসেছিলেন বিজেপির নেতারা। বিজেপির নেতা সুকান্ত মজুমদার নাকি মিঠুন চক্রবর্তীকে বলেছেন, ‘এমনিতেই আপনার বিশ্রাম হয় না। এই ঘটনায় আপনি বিশ্রামের সুযোগ পেলেন।’ তাঁর কথা শুনে মিঠুন নাকি বলেছেন, ‘আমি তো চাইছিলাম আজকে থেকে শুটিং শুরু করে দিই।’