টেলিভিশন অনুষ্ঠান দিয়ে নিজের অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন ইয়ামি গৌতম। আজ তিনি বলিউডের প্রতিষ্ঠিত নায়িকা। হিন্দি ছাড়া তামিল, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড়, পাঞ্জাবি ছবিতেও কাজ করেছেন ইয়ামি। তাঁর ঝুলিতে প্রায় ২৭টা সিনেমা আছে। ক্যামেরার সামনে সিদ্ধহস্ত এই অভিনেত্রী। অথচ একটা সময় মঞ্চে উঠতে ভয় পেতেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের কিছু কথা ভাগাভাগি করেছেন ইয়ামি।
হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে জন্ম ইয়ামির। তবে তিনি বেড়ে উঠেছেন চণ্ডীগড়ে। ইয়ামি বলেন, ‘আমার স্কুলের কিছু শিক্ষক স্বপ্নেও ভাবেননি যে আমি চলচ্চিত্রজগতে কাজ করব। স্কুলে আমি একটা কবিতাও ঠিকঠাক বলতে পারতাম না। আসলে আমার মঞ্চভীতি ছিল। সামনে অনেক মানুষ একসঙ্গে দেখলে আমি ঘাবড়ে যেতাম। উন্মুক্ত বক্তৃতা বা অন্য কোনো কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে আমি দূরেই থাকতাম। কারণ, আমার আত্মবিশ্বাস কম ছিল। তবে পড়াশোনায় আমি ভালোই ছিলাম।’
ইয়ামি জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চলচ্চিত্রজগতের প্রতি তাঁর আগ্রহ বাড়তে থাকে। তিনি বলেন, ‘একসময় সিনেমা দেখার পর পছন্দের দৃশ্যগুলো আমি ঘরের দরজা বন্ধ করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করতাম। তবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমি প্রচারের আলোয় আসতে ভালোবাসি না। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো, মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার বেড়ে ওঠা। আমি খুবই সাধারণভাবে বড় হয়েছি। মা–বাবা আমাকে দারুণ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।’
ইয়ামি তাঁর ফিল্মি ক্যারিয়ারে বেশ কিছু হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। আ থার্সডে, দশবি, লস্টসহ একাধিক ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। তবে ইয়ামির কাছে উরি আর বালা ছবি দুটির বিশেষ স্থান আছে। এই বলিউড তারকা জানান যে উরি আর বালা ছবি দুটো তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে, ‘২০১৮ সালে আমি অভিনয়ের জগৎ ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলাম। অন্য কোনো পেশা বেছে নিতে তখন মন চেয়েছিল।
অভিনয়জীবন থেকে বের হয়ে ব্যবসা–বাণিজ্যের প্রতি আগ্রহী হয়েছিলাম তখন। আর সেই সময় আমার উরি ও বালা ছবি দুটি মুক্তি পেয়েছিল। এই দুই ছবির মাধ্যমে দর্শকের প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল, কে কী বলল, তা আর পাত্তা দেব না। শুধু নিজের মনের কথা শুনব। আর আমার পরিবার অবশ্যই আমার কাছে গুরুত্ব পাবে,’ বলেন ইয়ামি।