সায়ামি খের। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
সায়ামি খের। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রথম বলিউড অভিনেত্রী হিসেবে যা করতে যাচ্ছেন সায়ামি

এক নতুন ভ্রমণের পথে পা বাড়াতে চলেছেন বলিউড অভিনেত্রী সায়ামি খের। আয়রনম্যান ট্রায়াথলন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। তিনিই প্রথম বলিউড অভিনেত্রী, যিনি এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিতে চলেছেন। তবে এই বিটাউন তারকা আশাবাদী, তাঁকে দেখে অনেক অভিনেত্রীই ট্রায়াথলনে অংশ নিতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে আয়রনম্যান ট্রায়াথলন প্রতিযোগিতা। আয়রনম্যান ট্রায়াথলনকে সবচেয়ে কঠিন ট্রায়াথলন বলা হয়। এ প্রতিযোগিতায় সাঁতার, সাইকেল চালানো, দৌড়ানো—সবই করতে হয়।

এ প্রতিযোগিতার এখনো ৪০ দিনের মতো বাকি আছে। আমি একটু নার্ভাস আবার দারুণ রোমাঞ্চিত বোধ করছি। অনেক দিন ধরেই এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চেয়ে এসেছি।
সায়ামি খের

সম্প্রতি সায়ামি এক বিবৃতিতে বলেছেন যে এ প্রতিযোগিতা তাঁর শারীরিক ক্ষমতার শুধু নয়, মানসিক শক্তিরও পরীক্ষা নেবে।

সায়ামি খের

অভিনেত্রী বলেন, ‘এ প্রতিযোগিতার এখনো ৪০ দিনের মতো বাকি আছে। আমি একটু নার্ভাস আবার দারুণ রোমাঞ্চিত বোধ করছি। অনেক দিন ধরেই এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চেয়ে এসেছি। ২০২০ সালে একবার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তখন কোভিডের কারণে প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর প্রতিযোগিতার জন্য আর মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করতে পারিনি। এখন আমি পুরোপুরি প্রস্তুত।’

আয়রনম্যান ট্রায়াথলন প্রতিযোগিতায় সাঁতার, সাইকেল ও দৌড়ে পারদর্শী হতে হয়। এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।

সায়ামি খের

এ প্রসঙ্গে সায়ামি বলেছেন, ‘এই তিন খেলায় আমার ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। গত বছরের জুন মাসে ইতালিতে সাইকেল চালানোর সময় আমি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলাম। এরপর প্রায় আট মাস কিছু করিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবার প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করি। ছয় মাস ধরে আমি কঠোর অনুশীলন করছি। আমার চ্যালেঞ্জটা ছিল অনেক বেশি। কারণ, প্রশিক্ষণের সঙ্গে আমি একটা ছবির শুটিংও করছি। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা প্রশিক্ষণ নিই, ছুটির দিন আমি পাঁচ-ছয় ঘণ্টা ট্রেনিং নিই। কিন্তু আমি এতে এতটুকুও বিরক্ত নই।’

এই বলিউড নায়িকা জানান প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে।

তিনি বলেন, ‘এই সময়ে আপনাকে মানসিকভাবে খুব শক্ত থাকতে হয়। এমনকি এই সময়ে আপনাকে গান শোনার অনুমতি দেওয়া হয় না। নিজের সঙ্গে আট ঘণ্টা সময় কাটানো জরুরি হয়ে ওঠে। মনে তখন অদ্ভুত সব খেয়াল আসে। এর মাধ্যমে আমি নিজের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার পরীক্ষা নিতে পারছি। নিজের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করেছি।’