বলিউডে নায়িকাদের ইঁদুরদৌড়ে রাকুল প্রীত সিং সবাইকে ভালোই টক্কর দিচ্ছেন। একের পর এক মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ছবি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘ডক্টর জি’। এই ছবিতে আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন রাকুল। ‘ডক্টর জি’তে তিনি স্ত্রীরোগ–বিশেষজ্ঞ ড. ফাতিমা। এর আগে ‘রানওয়ে থার্টিফোর’ ছবিতে বিমানচালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি, ‘কাঠপুতলি’ ছবিতে হয়েছিলেন শিক্ষিকা। নানা স্বাদের চরিত্র তিনি সমান উপভোগ করছেন।
রাকুল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘কোনো চরিত্র কঠিন বা সহজ হয় না, হয় চ্যালেঞ্জিং। আমরা ক্রমাগত চেষ্টা করি চরিত্রটাকে যাতে অন্য রূপ দিতে পারি। ‘ডক্টর জি’র জন্য নানা প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি, চিকিৎসকেরা কীভাবে কথা বলেন, তাঁদের শরীরী ভাষা অনুধাবনের চেষ্টা করেছি। আমি একজন চিকিৎসকের খুঁটিনাটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছি। পর্দায় চিকিৎসক হয়ে উঠতে রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে।’
কেবল চিকিৎসকদের জীবন অনুসরণই নয়, রাকুলকে রপ্ত করতে হয়েছে হিন্দি উচ্চারণও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লক্ষ্ণৌর হিন্দি উচ্চারণ আলাদা। এটা শিখতে ক্লাস করেছি। তবে পরিচালক আমাকে সব দিক থেকে গাইড করেছেন।’
পর্দাতে স্ত্রীরোগ–বিশেষজ্ঞের চরিত্রে অভিনয় করলেও ছোটবেলায় চিকিৎসককে দারুণ ভয় পেতেন রাকুল। কারণও ব্যাখ্যা করলেন, ‘ইঞ্জেকশনকে আমি খুব ভয় পাই। তাই চিকিৎসককে ভয় পেতাম। আমার বয়স তখন চার কি পাঁচ বছর হবে, মা-বাবাকে চিকিৎসক বলেছিলেন আমাকে ইঞ্জেকশন দিতে হবে। শুনে সেখান থেকেই পালিয়ে আমি এক বন্ধুর বাড়িতে যাই। তাদের বাড়ির মুরগির খাঁচার মধ্যে লুকিয়ে পড়ি। খাঁচায় তখন অবশ্য মুরগি ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মা–বাবা আমাকে পেয়েছিলেন।’
বলিউডের আগে দক্ষিণেও দারুণ সফলতা পেয়েছেন রাকুল। এ দুই ইন্ডাস্ট্রির কাজের তফাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসলে কাজের ধরন আপনার টিমের ওপর নির্ভর করে। আমি ভাগ্যবতী যে সব সময় ভালো টিমের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। দুই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একমাত্র শিফটের তফাত আমার নজরে পড়েছে। দক্ষিণে সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শিফট। আর বলিউডে সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা। শিফটের দিক থেকে আমার দক্ষিণই পছন্দ।’
বলিউডে এখন হলিউড বা দক্ষিণের কালজয়ী নানা ছবি রিমেকের ধুম পড়েছে। কোন কালজয়ী ছবির রিমেকে কাজ করতে চান রাকুল, ‘কোনো কালজয়ী ছবির রিমেকে আমি কাজ করতে চাই না। আমার মনে হয়, এটা কারোরই করা উচিত নয়। কাল্টকে কাল্ট হিসেবেই রাখা উচিত।’