এক বছর ধরেই নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় নাজেহাল ছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু। গত বছর ‘মায়োসাইটিস’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান অভিনেত্রী। এরপরও কিছুটা সুস্থ হয়ে ‘শকুন্তলম’-এর প্রচারে অংশ নিয়েছেন, শেষ করেছেন ‘সিটাডেল’ সিরিজের শুটিং। এরপরই অভিনয় থেকে ছয় মাসের বিরতি নেন তিনি। এই বিরতিতে সামান্থার আর্থিক ক্ষতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের অনলাইন গণমাধ্যম পিংকভিলা।
দক্ষিণ ভারত তো বটেই, হিন্দি সিনেমা ও সিরিজের নির্মাতার কাছে সামান্থার ব্যাপক চাহিদা ছিল।
‘সিটাডেল’-এর শুটিং শুরুর পর অনেকেই মনে করেছিলেন, অভিনয়ে নিয়মিত হবেন অভিনেত্রী। কিন্তু সিরিজটি শেষ করেই বিরতির ঘোষণা দেন তিনি। পিংকভিলা জানিয়েছে, ছয় মাসের বিরতির কারণে অভিনেত্রীর ১২ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা) আর্থিক ক্ষতি হবে।
ছবি থেকে তিন থেকে চার কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন সামান্থা। এই ছয় মাসে সামান্থা অন্তত তিনটি সিনেমায় অভিনয় করতে পারতেন। সাধারণত দুই মাসেই নতুন ছবি শেষ করেন তিনি। সেই হিসাব বিবেচনায় নিয়ে এই আর্থিক ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে সামান্থা জানিয়েছেন, দক্ষিণ ভারতের একটি যোগকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন তিনি। তামিলনাড়ুর কোয়াম্বেটর শহরের যোগকেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী।
সামনে ‘সিডাটেল’ ছাড়াও বিজয় দেবারকোন্ডার বিপরীতে ‘কুশি’ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। এ ছবির শুটিং শেষ করেছেন সামান্থা।
হিসাব বলছে, এই ছয় মাসে প্রায় ১২ কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে সামান্থার। যদিও আর্থিক ক্ষতির থেকেও নিজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই এখন বেশি চিন্তিত নায়িকা। বেশ অনেক দিন হলো মায়োসাইটিস বা পেশিপ্রদাহের রোগ নিয়ে ভুগছেন তিনি। যদিও এত কিছুর মধ্যে কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকায় প্রায় বিনা ছুটিতেই একসঙ্গে একটি ছবি ও একটি সিরিজের কাজ চালিয়ে গেছেন।