এ বছর ঈদে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। তবে ভাইজান তাঁর অনুরাগীদের এবারের ঈদে ঈদি দিতে কিন্তু ভোলেননি। এদিন তিনি তাঁর আগামী ছবি ‘সিকান্দার’-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছিলেন। এই ছবিটি আগামী ঈদে মুক্তি পাবে বলে ভাইজান জানিয়েছেন। গুলিবর্ষণের ঘটনার পরেও তিনি নিজের শিডিউলে কোনো বদল আনেননি। আগামী মাস থেকে সালমান ‘সিকান্দার’ ছবির শুটিং শুরু করবেন বলে জানা গেছে।
আগামী ঈদে সালমান ‘সিকান্দার’ ছবিকে বড় পর্দায় আনতে চান। তাই একটা দিনও নষ্ট করতে চান না এই বলিউড তারকা। গত রোববার ভোরবেলায় সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে দুজন দুষ্কৃতকারী বাইকে করে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ছিল। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের দুই দুষ্কৃতকারী বিক্কি আর সাগরের উদ্দেশ্য ছিল ভাইজানকে ভয় দেখানো। কিন্তু বিটাউনের ‘দাবাং খান’ পর্দার বাইরেও নিজের দাবাং ইমেজ ধরে রাখতে চান। তাই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের প্রাণনাশের হুমকির পরও চারদেয়ালের মধ্যে নিজেকে বন্দী করে রাখতে চান না সালমান। তিনি চান না তাঁর শুটিং শিডিউলে কোনো পরিবর্তন আনতে।
সালমান শুটিং ইউনিটকে জানিয়েছেন যে শিডিউল আগের মতোই থাকবে। এর ফলে আগামী মাস থেকে তিনি ‘সিকান্দার’ ছবির শুটিং শুরু করবেন। মে মাসে তিনি এই ছবির প্রথম পর্যায়ের শুটিং করবেন বলে জানা গেছে। এই ছবিটি পরিচালনা করবেন দক্ষিণের নামকরা পরিচালক মুরুগদাস। এখন তিনি তামিল তারকা শিবকার্তিকেয়নের সঙ্গে ‘এসকে২৩’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত। আগামী দুই মাস মুরুগদাস একদিকে তামিল এই ছবি এবং অপর দিকে ‘সিকান্দার’ ছবির শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকবেন।
মে মাসে ‘সিকান্দার’ ছবির প্রথম শিডিউল শেষ করবেন এই পরিচালক। এরপর জুন মাসে তিনি শিবকার্তিকেয়নের পুরো ছবির শুটিং শেষ করবেন। এরপর জুলাই মাস থেকে মুরুগদাস পুরোপুরি সালমানের ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকবেন বলে জানা গেছে।
‘সিকান্দার’ ২০২৫ সালে ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পাবে। এই ছবিটি প্রযোজনা করবেন সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা।
এদিকে ১৪ এপ্রিল সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলিবর্ষণকারী দুই অভিযুক্ত এখন পুলিশ রিমান্ডে আছে। ১০ দিনের জন্য দুই অভিযুক্ত বিক্কি ও সাগরকে রিমান্ডে রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই বিক্কি ও সাগরকে এই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে আনমোল তাঁদের চার লাখ রুপি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিক্কি আর সাগরকে এক লাখ অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল। বাকি তিন লাখ এই হামলার পরে দেওয়ার কথা ছিল।