‘হিরোপান্তি’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন কৃতি শ্যানন। ছবিটি মুক্তি পায় ২০১৪ সালের ২৩ মে। সে হিসাবে হিন্দি সিনেমায় ৯ বছর পূর্ণ করেছেন কৃতি শ্যানন। ফিল্মি দুনিয়ার বাইরে থেকে এসে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে আছে ‘বেরেলি কি বরফি’, ‘দিলওয়ালে’, ‘লুকা ছুপি’, ‘মিমি’র মতো সফল ছবি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে বড় বাজেটের ছবি ‘আদিপুরুষ’। আর এখন দ্য ক্রু ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত কৃতি। এই ছবিতে আছেন কারিনা কাপুর খান আর টাবু। সব মিলিয়ে বলা যায়, তাঁর বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। তবে এ জায়গায় পৌঁছাতে তাঁকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।
এমনও হয়েছে, একসময় তাঁর হাতে কাজ পর্যন্ত ছিল না। হিন্দি দৈনিক অমর উজালাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই দিনগুলোর কথা স্মরণ করেছেন কৃতি।
বলেছেন, ‘আগে থেকেই আপনি চলচ্চিত্রজগতের না হলে ইন্ডাস্ট্রির লোকে আপনার নাম মনে রাখতে অনেক সময় লাগিয়ে দেয়। আমি চেয়েছিলাম, আমার নামের সঙ্গে সবাই পরিচিত হোক। আর নিজের প্রতিভার জোরেই সেটা অর্জন করতে চেয়েছিলাম। আমার ভেতরে সব সময় তারকা হওয়ার একটা খিদে ছিল।
এর সূত্রপাত হয়েছিল “বরেলি কি বরফি”র সময়। এরপর “লুকা ছুপি” ছবিতেও ভালো কাজ করেছিলাম। এই দুই ছবির মাধ্যমে ছোট একটা পদক্ষেপ ফেলেছিলাম। তবে আমি সঠিক লক্ষ্যের দিকেই হেঁটেছিলাম। এরপর “মিমি” আমার ক্যারিয়ারকে পুরোপুরি বদলে দেয়। এই ছবির হাত ধরে আমি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলাম। এই জায়গায় পৌঁছাতে আমার আট বছর সময় লেগেছিল।’
ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোর প্রসঙ্গে কৃতি আরও বলেছেন, ‘আমার তখন আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমি পারব। কিন্তু আমাকে কোনো সুযোগ দেওয়া হতো না। আর এটা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল।’
এই বলিউড নায়িকা বলেছেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসার কারণে আপনি সেভাবে কাউকে চেনেন না। আর আপনাকেও কেউ চেনে না। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জমি পাকাপোক্ত করতে সময় লাগে।
আর ইন্ডাস্ট্রির মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠতে সময় লেগে যায়। আর তখন যা কাজ পেতাম, তারই মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করতাম।’ কৃতির ভাষায়, ‘তার মানে এই নয় যে আপনি যে ছবিতে কাজ করেছেন, সেটা দুনিয়ার সেরা ছবি। প্রতিটি ছবি আমাকে কিছু না কিছু শিখিয়েছে।’