উপমহাদেশের ফর্মুলায় দেখতে ভালো হলেই কিন্তু সিনেমার দুনিয়ায় নাম লেখানো যায় না; অভিনয় জানতে হয়। তবে বলিউডে এমন অনেকে আছেন, যাঁরা অভিনয় জেনে অভিনয় করতে আসেননি; বরং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অন্য পেশায়, পরে অভিনয়ও রপ্ত করে ফেলেন। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে গান গাইতে গাইতে পরে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন অনেকে। সংগীতশিল্পী থেকে যাঁরা ছোট ও বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করেন, তাঁরা নজরে এসেছেন সবার। কিন্তু নজর হয়তো তেমন কাড়তে পারেননি। তাঁদের তালিকা জানতে আপনার নজরটা বুলিয়ে নিতে পারেন এখানে।
মিকা সিং
পপ ও র্যাপ ধাঁচের গান করে ভারতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান মিকা সিং। করেন চলচ্চিত্রের গানও। ২০১১ সালে ‘লুট’ ছবি দিয়ে বলিউডে নাম লেখান তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আরেকটি বলিউডি ছবি করেন। নাম ‘বলবিন্দর সিং ফেমাস হো গ্যায়া’।
আতিফ আসলাম
বলিউডের ছবিতে গান গাইলেও আতিফ আসলামকে কিন্তু বলিউডের কোনো ছবিতে দেখা যায়নি। পাকিস্তানি এই সংগীত তারকার নিজ দেশের ছবি ‘বোল’ দিয়ে ২০১১ সালে অভিনয়ে অভিষেক হয়। ছবি করেছেন ওই একটাই। তবে নিজের গানের ভিডিওতে টুকটাক অভিনয় তো তাঁকে করতেই হয়।
হার্ড কৌর
বেশ কয়েকটি বলিউডি ছবিতে গায়িকা হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন ভারতীয় র্যাপার ও হিপহপ সংগীত তারকা। তবে ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পাটিয়ালা হাউস’ ছবিতে পুরোদস্তুর অভিনয় করেছেন একটি চরিত্রে।
আলী জাফর
পাকিস্তানি সংগীত তারকা আলী জাফর বলিউডের ছবিতে একটি-দুটি কাজ করেননি। কোমর বেঁধেই মাঠে নেমেছেন মনে হচ্ছে। তাঁর প্রথম ছবি ‘তেরে বিন লাদেন’ মুক্তি পায় ২০১০ সালে। এরপর এ পর্যন্ত ‘লাভ কা দ্য এন্ড’; ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহান’; ‘লন্ডন, প্যারিস, নিউইয়র্ক’; ‘চাশমে বাদ্দুর’; ‘টোটাল সিয়াপ্পা’; ‘কিল দিল’; ‘তেরে বিন লাদেন: ডেড অর অ্যালাইভ’ ও ‘ডিয়ার জিন্দেগি’ ছবিতে তাঁকে দেখা যায়। নিজ দেশে ছোট পর্দাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। এখন পাকিস্তানি একটি ছবির শুটিং করছেন
আদিত্য নারায়ণ
আদিত্য নারায়ণ কিন্তু ছোটবেলায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন ‘জাব পেয়ার কিসি সে হোতা হ্যায়’ ও ‘পরদেশ’ ছবিতে। এরপর বাবা উদিত নারায়ণের মতো গানকেই বেছে নেন ক্যারিয়ার হিসেবে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেতা হিসেবে আবার ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করেন ‘শাপিত’ ছবি দিয়ে।
শ্রুতি হাসান
দক্ষিণি সিনেমায় নাম লেখানোর আগে শ্রুতি হাসান একটি ব্যান্ডে গান গাইতেন। ২০০৯ সালে ‘লাক’ ছবি দিয়ে শুরু করেন অভিনয়জীবন। দক্ষিণি ছবিতে গান গেয়ে কিন্তু তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও বাগিয়েছেন।
অভিজিৎ সাওয়ান্ত
অভিজিৎ সাওয়ান্ত মনে হয় গানের জগতের নায়ক হলেই ভালো। ‘লটারি’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করে সে কথা হয়তো নিজেই বুঝে গেছেন। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৯ সালে। পরে ২০১০ সালে অবশ্য তাঁকে ‘তিস মার খান’ ছবিতে একঝলক দেখা গেছে।
হিমেশ রেশামিয়া
গানে বেশ ভালোই নাম কামাচ্ছিলেন হিমেশ রেশামিয়া। পরে আবার চেপে ধরল তাঁকে অভিনয়ের ভূত। ২০০৭ সালে ‘আপ কা সুরুর’ ছবি দিয়ে যাত্রা করেন বলিউডে। এরপর আরও বেশ কয়েকটি ফ্লপ ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।
সোফি চৌধুরী
ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পপ গায়িকা হিসেবে। পরে বেশ কয়েকটি বলিউডি ছবিতে দেখা গেছে সোফি চৌধুরীকে। তাঁর প্রথম ছবি ‘শাদি নম্বর ওয়ান’ মুক্তি পায় ২০০৫ সালে।
সনু নিগম
সনু নিগমের কথা তো না বললেই নয়। একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, না বুঝেই অভিনয় শুরু করেছিলেন। যখন তাঁর উপলব্ধি হলো যে তিনি আসলে গানের জন্যই জন্মেছেন, অভিনয়ের জন্য নয়; তখন বলিউডের খাতা থেকে নাম কেটে ফেললেন। শিশুশিল্পী হিসেবে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। পরে ‘জানি দুশমন: এক প্রেম কথা’, ‘কাশ আপ হামারে হোতে’ ও ‘লাভ ইন নেপাল’ ছবিতে তাঁকে দেখা যায়
লাকি আলী
পপ তারকা লাকি আলী মনে হয় খুব একটা ভাগ্য খাটাতে পারলেন না বলিউডে। সুকণ্ঠের অধিকারী লাকি আলী অভিনেতা মেহমুদের ছেলে কিংবা মিনা কুমারীর ভাগনে হলেও চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার জমেনি তাঁর। সত্তর ও আশির দশকে কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন। ‘সুর’ ও ‘কাটে’ ছবি দিয়ে সবার নজরে আসেন তিনি।