মাত্র ১৬ বছর বয়সে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এমি জ্যাকসন। ভারতীয় সিনেমা জগতে তাঁর সাত কুলে কেউ নেই। তাই কখনো অভিনয়ে আসার কথা ভাবেননি এই ব্রিটিশ অভিনেত্রী। কিন্তু তামিল ছবি ‘মাদ্রাসাপাট্টিনাম’-এ হঠাৎই সুযোগ পান তিনি।
এরপর আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে। সর্বশেষ তাঁকে দেখা গেছে ‘ক্র্যাক-জিতেগা তো-জিয়েগা’। সিনেমাটির অ্যাকশন দৃশ্যে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এ ছবিতে এমি ছাড়াও দেখা গেছে অর্জুন রামপাল, বিদ্যুৎ জামওয়াল, নোরা ফাতেহিকে। ক্র্যাক এমি ‘প্যাট্রিসিয়া নোভাক’ নামের এক ইউরোপোল এজেন্টের ভূমিকায় দেখা দেখা গেছে। চরিত্রটি ১৩টি ভাষায় কথা বলতে পারে। এর মধ্যে একটি হলো হিন্দি।
সিনেমাটিতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এমি বলেন, ‘আমি চরিত্রের গভীরে যাওয়ার জন্য লেখক-পরিচালক আদিত্য দত্ত আর সহ-লেখক রেহান খানের সঙ্গে অনেকবার কর্মশালা করেছি। এই “প্যাট্রিসিয়া” চরিত্রটি অনেকটা আমার মতো। তার সঙ্গে আমি নিজের অনেক মিল খুঁজে পেয়েছি। সে কাজের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিত, দায়িত্বশীল আর শক্ত মনের মেয়ে। সে একান্তে থাকতে ভালোবাসে, কথা খুব একটা বলে না। তবে আমি প্রচুর কথা বলতে ভালোবাসি। এখানেই আমাদের অমিল। চরিত্রটির মানসিক অবস্থা বুঝে অভিনয় করা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
‘ক্র্যাক’-এর আগে এমি অভিনীত শেষ হিন্দি ছবি ছিল ‘ফ্রিকি আলী’। ছবিটিতে তিনি নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন। হিন্দি ছাড়া তাঁকে তামিল, তেলেগু, কন্নড় ছবিতে দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে এমি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে সিনেমার কোনো ভাষা হয় না। আগে হিন্দি, তামিল, তেলেগু কোনো ভাষাই বলতে পারতাম না। আপনি পর্দায় কোন ভাষায় কথা বলছেন, তা নিয়ে দর্শক খুব একটা ভাবে না।’
‘ক্র্যাক’-এর সহশিল্পী বিদ্যুৎ জামওয়াল আর অর্জুন রামপালে মুগ্ধ এমি। তাঁদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্জুন আর বিদ্যুতের অফুরন্ত প্রাণশক্তি আমাকে অবাক করেছিল। বিদ্যুতের সঙ্গে আমি সব সময় কাজ করতে চেয়ে এসেছি।
এই দুই অভিনেতার উচ্চতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে আমাকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। ‘কমান্ডো’-এর মতো প্রচুর অ্যাকশন সিনেমা দেখেছি। তাদের সঙ্গে এক সিনেমায় অভিনয়ের আগে আমি নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করেছিলাম।’