মনীষা কৈরালা। ইনস্টাগ্রাম থেকে
মনীষা কৈরালা। ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রথম ছবি সুপারহিটের পর ক্যারিয়ারে ৫০টি ফ্লপ ছবি এই অভিনেত্রীর

ব্যক্তিগত জীবনের মতো তাঁর ক্যারিয়ারও চড়াই-উতরাইয়ে ভরা। ব্যক্তিজীবনে যেমন ক্যানসারের মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে, তেমনি দীর্ঘ ক্যারিয়ারেও অম্লমধুর অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। প্রথম সিনেমা হিট হওয়ার পরের পাঁচ বছরে ১১টি সিনেমা ফ্লপ হয়। আর ক্যারিয়ারজুড়ে ৫০টি ফ্লপের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। কে এই অভিনেত্রী? ভারতীয় গণমাধ্যম ডিএনএ অবলম্বনে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ওই অভিনেত্রীর প্রথম হিন্দি সিনেমা ছিল ‘সওদাগর’। ১৯৯১ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির পরিচালক ছিলেন সুভাষ ঘাই।

তারকাবহুল এই সিনেমায় ছিলেন দিলীপ কুমার, রাজ কুমার, অমরেশ পুরী, অনুপম খের, জ্যাকি শ্রফের মতো তারকারা। শেক্‌সপিয়ারের ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’-এর প্রেরণায় নির্মিত সিনেমাটি বক্স অফিসে সাফল্য পায়।

প্রথম সিনেমাই সফল, স্বভাবই এই অভিনেত্রীর পরের সিনেমাগুলো নিয়েও আগ্রহ ছিল ভক্তদের। কিন্তু বিধি বাম!  পরপর ফ্লপ হতে থাকে তাঁর অভিনীত সিনেমা। এই অভিনেত্রী আর কেউ নন মনীষা কৈরালা।

অক্ষয় খান্না ও মনীষা কৈরালা। আইএমডিবি

‘সওদাগর’-এর সাফল্যের পর অনেক নির্মাতার কাছে তিনি প্রথম পছন্দের অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন। অভিষেকের পর মাত্র দুই বছরে করেন ছয়টি সিনেমা। ১৯৯৩ থেকে ’৯৬ সালের মধ্যে তাঁর ১১টি সিনেমা ফ্লপ হয়। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে মনীষার বলিউড ক্যারিয়ার নিয়েই সংশয় তৈরি হয়। তবে এই ‘ফ্লপের মিছিল’ শেষ হয় ‘অগ্নিসাক্ষী’ দিয়ে। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন মনীষা।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ‘দিল সে...’,  ‘কোম্পানি’, ‘খেলা’সহ  মনে রাখার মতো অনেক সিনেমা করেছেন মনীষা। বিধু বিনোদ চোপড়া, রামগোপাল ভার্মা, সুভাষ ঘাই, ঋতুপর্ণ ঘোষসহ অনেক নামী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে ভুলে যাওয়ার মতো অনেক সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ক্যারিয়ার জুড়ে ৫০ বারের বেশি ফ্লপের স্বাদ পেয়েছেন তিনি।

মনীষা কৈরালা। আইএমডিবি

মনীষা কৈরালার ফ্লপ সিনেমার মধ্যে আছে ‘কার্তুজ’, ‘লাল বাদশাহ’, ‘লাওয়ারিশ’, ‘লোহা’, ‘দুশমনি’, ‘গুড্ডু’, ‘ডিয়ার মায়া’, ‘চেহেরে’ ইত্যাদি।