‘বিনোদিনী’র পর এবার ‘দ্রৌপদী’ চরিত্রে দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকে। গতকাল এক বিবৃতিতে খবরটি জানিয়ে চরিত্রটি নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।
এর আগে অভিনেত্রী ‘নটী বিনোদিনী’র বায়োপিক বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান নির্মাণ করেছেন রাম কমল মুখার্জি। ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এবার তিনি পৌরাণিক চরিত্র ‘দ্রৌপদী’কে পর্দায় জীবন্ত করতে চলেছেন। রাম কমল দ্রৌপদীর জন্য বেছে নিয়েছেন রুক্মিণীকেই।
ছবিটি লেখক প্রতিভা রায়ের ওড়িয়া উপন্যাস যজ্ঞসেনী অবলম্বনে বানানো হবে। প্রযোজনা করছেন কলকাতার নায়ক দেব অধিকারী ও মুম্বাইয়ের প্রতীক চক্রবর্তী। দেব এই ছবি প্রসঙ্গে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান ছবিতে রাম কমলের কাজ দেখার পর বুঝেছি তাঁর সৃজনশীলতা এবং পর্দায় উপস্থাপনার দক্ষতা কতটা দুর্দান্ত। দ্রৌপদীকে নিয়ে ছবি নির্মাণের কথা শোনার পর থেকেই ভেবেছিলাম, রাম কমলই পারবেন ছবিটি করতে। বিনোদিনীতে রুক্মিণীর দুরন্ত অভিনয়ের সাক্ষী হয়েছি আমি। দ্রৌপদীর জন্য রুক্মিণীকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক।’
একই বিবৃতিতে রুক্মিণী মৈত্র বলেন, ‘বিনোদিনীর পর রাম কমলের সঙ্গে আবার যোগ দিতে পেরে আমি দারুণ খুশি। তিনি আমাকে সব সময় চরিত্রের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিয়েছেন, যে চরিত্র পর্দায় তুলে ধরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল।’ এই নায়িকা আরও বলেন, ‘পর্দায় মহাভারত–এর অংশ হতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। এটা এমনই এক বিষয়, যা প্রত্যেক ভারতীয়র হৃদয়ের খুব কাছের। বলার অপেক্ষা রাখে না যে বিনোদিনীর পর এটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং চরিত্র।’
রাম কমল তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প দ্রৌপদী প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার দুই প্রযোজক দেব ও প্রতীকের কাছে কৃতজ্ঞ; তাঁরা আবার আমার স্বপ্ন পূরণ করতে এগিয়ে এসেছেন। তবে এবার অনেক বড় আকারে হতে চলেছে। প্রতিভাজি (রায়) তাঁর উপন্যাস যজ্ঞসেনী নিয়ে ছবি নির্মাণের অধিকার দেওয়ার জন্য তাঁর কাছেও কৃতজ্ঞ। আমার সবচেয়ে প্রিয় রুক্মিণীকে এবার দ্রৌপদী হিসেবে পেয়েছি। আমি জানি, দুজনই এই ছবির জন্য কঠোর পরিশ্রম করব। মনে নেই, শেষ কবে বাংলায় পৌরাণিক ছবি হয়েছে। দেব ও প্রতীককে কুর্নিশ, তাঁরা আমার আর রুক্মিণীর ওপর আস্থা রেখেছেন।’