কঙ্গনা রনৌত মানেই যেন বিতর্ক। তিনি মুখ খুললেই সৃষ্টি হয় নতুন বিতর্ক। কখনো তিনি নিশানা করেন বলিউড সহকর্মীদের, কখনো পুরো বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকেই। এবার কঙ্গনার নিশানায় পরিচালক ও প্রযোজক মহেশ ভাট। সম্প্রতি কঙ্গনা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি শেয়ার করেন। সেই স্টোরিতে পুরোনো এক ভিডিও ক্লিপের ছবি শেয়ার করে কঙ্গনা জানান, মহেশ ভাটের আসল নাম মোটেই মহেশ নন। তাঁর নাম আসলাম।
কঙ্গনা ইনস্টাগ্রাম তাঁর পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ধর্ম ত্যাগ করেছিলেন মহেশ ভাট। তাঁর আসল নাম ছিল আসলাম। অন্তত আমাকে সেটাই বলা হয়েছিল। সোনি রাজদানকে বিয়ে করার জন্য নাকি ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন মহেশ। কিন্তু কেন তিনি নিজের সুন্দর নামটা গোপন রেখেছেন?’ কঙ্গনার আরও লিখেন, ‘আসলাম নামটা সুন্দর, সেই নামটি লুকানোর কী আছে? ধর্মান্তরিত হওয়ার পর আসল নাম ব্যবহার করাই উচিত। অন্য কোনো ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করার কোনো প্রয়োজন নেই।’
মহেশ ভাটের প্রযোজনায় ‘গ্যাংস্টার’ ছবি দিয়েই বলিউডে পা রাখেন কঙ্গনা। এরপর ‘ওহ লামহে’ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে গত কয়েক বছরে ভাট পরিবারের সঙ্গে কঙ্গনার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ২০২০ সালে কঙ্গনা মহেশ ভাটের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ আনেন। মহেশকন্যা পূজা ভাট পরিচালিত ছবি ‘ধোঁকা’র প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
কঙ্গনার অভিযোগ, এই ছবির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁর মুখে জুতা ছুড়ে মারেন মহেশ। পুরো ঘটনাটি ঘটেছিল কঙ্গনার ছবি ‘ওহ লামহে’র প্রাক্–প্রদর্শনীর সময়ে। নিজের ছবি দেখতে পারেননি কঙ্গনা। কাঁদতে কাঁদতে হল থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল তাঁকে। সেই ঘটনার পর থেকেই নানা সময়ে মহেশকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেন কঙ্গনা। ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি’ ছবিটি মুক্তির আগে আলিয়া ভাটকেও কটাক্ষ করেছিলেন কঙ্গনা। বানসালির কাস্টিংকে ভুল উল্লেখ করে আলিয়াকে ‘বাবার রাজকন্যা’ বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি মহেশ ভাটকে ‘মুভি মাফিয়া’ বলে বিদ্রূপ করেছিলেন।