'সুপার থার্টি'তে হৃতিক পারলেন, নাকি হারলেন?

‘সুপার থার্টি’র সঙ্গে শিক্ষক হৃতিক রোশন
‘সুপার থার্টি’র সঙ্গে শিক্ষক হৃতিক রোশন

মনে করুন, শিক্ষক ক্রিকেট খেলছেন ছাত্রদের সঙ্গে। বল উড়ে এল আর তা মুঠোবন্দী করলেন গণিতের শিক্ষক আনন্দ কুমার। ক্যাচ ধরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বলের গতি ১৪৩ কিলোমিটার। আর বাউন্ডারি ৬৩ মিটার দূরে। তাহলে শচীন টেন্ডুলকারকে ছক্কা মারার জন্য কত জোরে (ফোর্সে) বল মারতে হবে?’ এভাবেই খেলাচ্ছলে, ক্লাসরুমে, ক্লাসরুমের বাইরে সবখানে বিনা পয়সায় কোচিং করান তিনি। যাতে গরিব, সুবিধাবঞ্চিত, স্বপ্নবান ছাত্ররা তাদের স্বপ্ন স্পর্শ করতে পারে।

১২ জুলাই ছিল বলিউড তারকা হৃতিক রোশনের জন্য একটা বিশেষ দিন। কারণ, প্রায় দেড় বছর পর মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি, সেখানে ৪৬ বছর বয়সী ‘ম্যাথ জিনিয়াস’ আনন্দ কুমারের ভূমিকায় দেখা যাবে ৪৫ বছর বয়সী হৃতিক রোশনকে। এই ছবিতে আনন্দ কুমারের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ম্রুণাল ঠাকুর। বীরেন্দ্র স্যাক্সেনাকে দেখা গেছে আনন্দ কুমারের বাবার ভূমিকায়। আনন্দ কুমারের ভাইয়ের চরিত্রে নন্দীশ সিং। আর সিআইডির ইন্সপেক্টর অভিজিৎ, অর্থাৎ আদিত্য শ্রীবাস্তবকে দেখা গেছে কোচিংয়ের মালিকের ভূমিকায়।

ছবিটি পরিচালনা করেছেন বিকাশ বহেল, চিত্রনাট্য লিখেছেন সঞ্জীব দত্ত। অজয়-অতুলের মিউজিক, অনয় গোস্বামীর সিনেমাটোগ্রাফি আর সম্পাদনায় ছিলেন শ্রীকর প্রসাদ। কিন্তু এই ছবির সবচেয়ে বড় কুশীলব ভারতের পাটনার গণিত শিক্ষক আনন্দ কুমার।

আসল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসল আনন্দ কুমার

আনন্দ কুমার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সাধারণত বায়োপিকের ক্ষেত্রে যাঁর জীবনের ওপর ভিত্তি করে ছবি নির্মাণ করা হয়, তাঁর কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শুনে তার ওপর চিত্রনাট্য নির্মিত হয়। কিন্তু এই ছবিতে নাকি চিত্রনাট্যের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে কে তাঁর চরিত্রে অভিনয় করবেন—এই সবকিছুই তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

১৯৯৪ সালে আনন্দ কুমার কেমব্রিজে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। সব ঠিক ছিল। শুধু দরিদ্র আনন্দ কুমার প্লেনের টিকিটের টাকা জোগাড় করতে পারেননি। তাই কেমব্রিজে পড়ার স্বপ্ন সেখানেই ভেঙে গেছে। বড় ছেলের স্বপ্ন সত্যি করতে না পারার হতাশা ঘিরে ধরেছিল গরিব ডাকপিয়ন বাবাকে। এসব দুশ্চিন্তায় একসময় তিনি চলে গেলেন না–ফেরার দেশে। সংসার চলবে কীভাবে? আনন্দ কুমারের মা তখন সংসারের হাল ধরেন। পাঁপড় কিনে বিক্রি করতেন তিনি। সেই টাকায় কোনো রকমে লেখাপড়া শেষ করলেন আনন্দ কুমার।

ছবির মূল তিন কুশীলব, বিকাশ বেহেল, আনন্দ কুমার ও হৃতিক রোশন

অর্থের অভাবে কেমব্রিজে পড়তে পারেননি বলে অর্থের পেছনে ছোটেননি আনন্দ কুমার। নিজের স্বপ্ন সত্যি হয়নি, তাই অন্যের স্বপ্নপূরণে নেমে যান। যেসব গরিব ছাত্র স্বপ্ন দেখত আইআইটিতে (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) পড়ার, তাদের স্বপ্নের গোড়ায় নিয়মিত পানি ঢালতেন আনন্দ কুমার। আর বুদ্ধিতে দিতেন শাণ। নিজের স্বল্প আয়ের পুরোটাই তিনি খরচ করতেন ওই ছাত্রদের খাওয়া, পড়া, থাকা আর লেখাপড়ার খাতে।

২০০২ সাল থেকে আনন্দ কুমার নিজের কোচিং সেন্টার চালু করেন। সেখানে প্রতিবছর বিহারের সেরা ৩০ জন গরিব মেধাবী ছাত্র একেবারে বিনা পয়সায় ‘সুপার থার্টি’ প্রজেক্টের অধীনে আইআইটির ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোচিং করার সুযোগ পায়। সিনেমার নামও তাই আনন্দ কুমারের পরামর্শ অনুসারে প্রোজেক্টের নামেই রাখা হয়েছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত আনন্দ কুমারের কোচিং থেকে ৪৮০ জনের ভেতরে ৪২২ জন চান্স পায়। এর আগে ডিসকভারি চ্যানেল আনন্দ কুমারের ওপর প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে।

হৃতিক রোশন ও ম্রুণাল ঠাকুর

আনন্দ কুমার যা কিছু করেছেন, বড় পর্দায় এই সবকিছুই করেছেন হৃতিক রোশন। সেই সঙ্গে প্রেমিকার নাচে মুগ্ধ হয়েছেন, গণিতের সঙ্গে প্রেমটাও চালিয়েছেন সমান্তরালে, সমান তালে। কিন্তু এই সিনেমা প্রথমেই সমালোচিত হয়েছে হৃতিক রোশনের লুকের কারণে। হৃতিককে বেশির ভাগ ছবিতে দেখা গেছে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ হিরোর চরিত্রে। ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’, ‘কোই মিল গ্যায়া’, ‘কৃশ’, ‘ধুম টু’, ‘যোধা আকবর’, ‘গুজারিশ’, ‘কাবিল’—যে ছবিগুলোর জন্য হৃতিক সবচেয়ে বেশি আলোচিত, সেই ছবিগুলোয় তাঁকে দেখা গেছে পুরোদস্তুর ‘হিরো’র চরিত্রে। যে হিরো কোনো সাধারণ মানুষ নন।

তাই একজন গরিব, মেধাবী, সাধারণের ভেতর অসাধারণ চরিত্রে সেই চিরচেনা হৃতিক যেন খানিক বেমানান। কিন্তু অনুপমা চোপড়া, রাজীব মাসান্দ, বলিউড হাঙ্গামাসহ যারা এই ছবির রিভিউ করেছে, তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছে, হৃতিকের প্রচেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। তবে হৃতিক রোশন বিহারি উচ্চারণের ওপর এত জোর দিয়েছেন যে সেটা স্বাভাবিক লাগেনি। আবার হৃতিকের গায়ের রং মেকআপ করে ‘কালো’ করা হয়েছে। আর সেই রং একেক দৃশ্যে একেক রকম লেগেছে। তা ছাড়া হৃতিক আনন্দ কুমারের মতো দেখতে না হলেও তিনি আনন্দ কুমারের হৃদয়কে ধারণ করতে পেরেছেন।

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি আনন্দ কুমার ও তাঁর ভাই প্রণব কুমারের সঙ্গে সাক্ষাতের একটা ছবি প্রকাশ করে টুইটারে লিখেছেন, ‘এই ছবি সত্যিকারের জীবনসংগ্রামের কথা বলে। কীভাবে একজন সাধারণ শিক্ষক স্বপ্ন আর অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে দাঁড়ান, সেই কথা বলে। হৃতিক রোশন আনন্দ কুমারের চরিত্রের নির্যাস ধরতে পেরেছে।’ অন্যদিকে, বলিউড তারকা সোনালি বেন্দ্রে, ফারাহ খান, রাকেশ রোশন, ইয়ামি গৌতম, পত্রলেখা—সবাই এই ছবি আর হৃতিকের অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আনন্দ কুমারের ছোট্ট মেয়েও নাকি ছবিতে হৃতিককে দেখে বাবা বলে চিৎকার করে উঠেছে। তাই বলা যেতেই পারে, হৃতিক বড় পর্দায় আনন্দ কুমারের অস্তিত্ব সৃষ্টি করতে পেরেছেন।

আনন্দ কুমাররূপী হৃতিক রোশন

ফারাহ খান তো বলেই দিয়েছেন, এই ছবির জন্য হৃতিক রোশনকে সমস্ত পুরস্কার দিয়ে দিলেও কম হবে। তবে হৃতিকের পাশাপাশি বিভিন্ন পার্শ্বচরিত্রের অভিনেতাদেরও খুব ভালো মানিয়েছে বলে সহমত প্রকাশ করেছেন সবাই। বিশেষ করে কোচিং ব্যবসায়ী লালন সিংয়ের চরিত্রে আদিত্য শ্রীবাস্তবকে একেবারে বাস্তব লেগেছে। বড় পর্দায় এই সিআইডি নাকি দর্শকদের ১৯৯০–এর দশকের ভিলেনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। আর পঙ্কজ ত্রিপাঠিও শিক্ষামন্ত্রীর চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। খুব অল্প সময়ের জন্য তিনি পর্দায় থাকেন। সেই ছোট্ট সময়েই তিনি বরাবরের মতোই দর্শকদের হৃদয়ে বড় স্থান করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে ম্রুণাল ঠাকুর অল্প সময়েই এমন সব মুহূর্ত সৃষ্টি করতে পেরেছেন, যেগুলো দর্শকের মনে গেঁথে থাকবে।

হৃতিক রোশনও নাকি ছোটবেলায় আমার–আপনার মতোই গণিতকে ভয় পেতেন। কিন্তু তিনি নাকি আনন্দ কুমারের সঙ্গে গণিতের যে ভালোবাসার সম্পর্ক, সেটিকে ধরতে পেরেছিলেন। সেই সম্পর্কটাই ধারণ করে ফুটিয়ে তুলেছেন বড় পর্দায়। হৃতিক এক টুইটে জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তাঁর নানা আর ডাক্তার ওজার কথা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করেছেন। ডা ওজা ছিলেন হৃতিকের স্পিচ থেরাপিস্ট। তখন হৃতিকের তোতলানো স্বভাব ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাচতে একেবারে ‘না’ ছিল। এই দুজন মানুষই নাকি হৃতিককে তাঁর সমস্ত দুর্বলতা মেনে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছিলেন।

‘চিল্লার পার্টি’, ‘কুইন’ ও সর্বশেষ ‘সুপার থার্টি’ ছবির পরিচালক বিকাশ বহেল। গত বছর অক্টোবরে তাঁর ওপর আসা যৌন হয়রানির অভিযোগের পর থেকেই তিনই চলে গিয়েছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। এই ঘটনায় ভেঙে যায় ফ্যান্টম। কারণ, এসব অভিযোগকে সত্যি বলে অভিযোগকারীর পক্ষ নেন প্রতিষ্ঠানটির অন্য তিন অংশীদার বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে, অনুরাগ কাশ্যপ ও মধু মন্টেনা। ‘কুইন’ ছবির নায়িকা কঙ্গনা রনৌতও যৌন হয়রানির অভিযোগে আঙুল তোলেন বিকাশ বলেহের দিকে।

বড় পর্দায় প্রেমিকাকে প্রেমপত্র দিচ্ছেন আনন্দ কুমার

সব মিলিয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না এই পরিচালকের। শোনা যাচ্ছিল, ‘সুপার থার্টি’ই হতে যাচ্ছে তাঁর সর্বশেষ সিনেমা। কিন্তু একদিন খবর এল, আদালত নাকি সমস্ত অভিযোগকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘ক্লিন চিট’ দিয়েছেন বিকাশ বহেলকে। আর চারদিক থেকে এই ছবির প্রশংসা আসতে না আসতেই জানা গেল, নতুন ছবির পরিকল্পনা করেছেন তিনই। খুব শিগগির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। সেদিক থেকে বলা যায়, এই ছবি বিকাশ বহেলের জন্য অগ্নিপরীক্ষা ছিল। আর সেই পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে পাস করেছেন তিনি।

তবে সমালোচকেরা এও বলছে যে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল বিকাশ বহেলের। বিশেষ করে বিরতির পর দ্বিতীয় অংশ কিছুটা ঝিমুনি ধরিয়েছে দর্শকদের। এও বলা হচ্ছে, ছবিটা শেষ পর্যন্ত ‘ফিকশন বেশি, বায়োপিক কম’ মনে হয়েছে। কিন্তু জীবনের গল্প যখন চিত্রনাট্য হয়ে বলিউডের বড় পর্দায় স্থান পায়, তখন সেই ‘বাস্তবতা’র অনেকটাই পরিচালক দ্বারা নির্মিত। সেটা বড় পর্দার জন্য ঠিক আছে, কিন্তু সত্যি বলে বিশ্বাস করতে বললে আবার মনে প্রশ্নচিহ্ন জাগে। তাই ছবির যতটুকু বিশ্বাস করার, ততটুকুই বিশ্বাস করেছে দর্শক।

অজয়-অতুল এর আগে ‘অগ্নিপথ’, ‘সিংঘাম’, ‘সাইরাত’, ‘ধড়ক’, ‘জিরো’ প্রভৃতি ছবির মিউজিক করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এই ছবির গানকেও ভালো বলেছেন সবাই। কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর নাকি মাঝেমধ্যে ‘অতিরিক্ত’ আর ‘লাউড’ হয়েছে। যেটা কিনা বায়োপিকের জন্য কম, হরর ছবির জন্য বেশি যথাযথ। তবে অনেক মুহূর্ত অনুভব করার জন্য এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সবার পোশাক আর সজ্জাও ঠিক ছিল। কিন্তু গরিব শিক্ষক আনন্দ কুমারের ভাইয়ের পায়ের দামি জুতা দর্শকদের নজর এড়ায়নি।

বড় পর্দার আনন্দ কুমার ও বাস্তবের আনন্দ কুমার

সার্বিকভাবে এই ছবি হাসিয়েছে, এই ছবি কাঁদিয়েছে, এই ছবি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। সামাজিক, শিক্ষামূলক ছবি হিসেবে ‘সুপার থার্টি’ সফল। বিশেষ করে বিরতির আগে যখন হৃতিক রোশন ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য বক্তব্য দেন, সেটি যেকোনো দর্শককে বাকি অংশ দেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। এই ছবির অনেক ডায়ালগ খুব ভালো লেখা হয়েছে। যেমন, এক জায়গায় হৃতিক বলেন, ‘রাজার ছেলে আর রাজা হবে না। এখন থেকে যে যোগ্য, সেই রাজার আসনে বসবে।’ অনেকে আবার এই সংলাপ বলিউডের স্বজনপ্রীতির সঙ্গে মিলিয়ে অর্থ তৈরি করেছেন। আবার আনন্দ কুমার যখন ছাত্রদের ‘শোলে’ ছবির অংশ ইংরেজিতে অভিনয় করে দেখাতে বলে তখন তাঁর উপযোগিতা বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘ইংরেজি তো জানতেই হবে, “মে আই কাম ইন”—এইটুকু বলতে না পারার জন্য কত দরজা যে চিরকালের জন্য বন্ধই থেকেছে, শুধু এই একটা বাক্য বলতে জানলেই খুলে যেত!’

এমন অনেক দৃশ্য ছিল, যেগুলো দর্শকের আবেগকে নিংড়ে বের করে আনে। যেমন কেমব্রিজ থেকে আনন্দ কুমারের আমন্ত্রণপত্র দেখা যায় ঠোঙা হয়েছে। আর সেই ঠোঙায় করে পাঁপড় বিক্রি করছেন আনন্দ কুমার। বা আনন্দ কুমার আর তাঁর বাবা যখন পুরোনো ভাঙা সাইকেলে চড়ে যাচ্ছিলেন, পিতা–পুত্রের তখনকার সেই কথোপকথন, সেটিও মনে রাখতে বাধ্য হবেন দর্শক। প্রথম দিনেই এই ছবি বক্স অফিস থেকে তুলে এনেছে ১২ কোটি রুপি। দেখা যাক, ‘কবির সিং’–এর জ্বর কমিয়ে বক্স অফিসে কত বড় অঙ্ক তুলে আনতে পারে এই ছবি। মোটের ওপর, দর্শকের ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট বৃথা যাবে না মোটেও।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বলিউড হাঙ্গামা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ফিল্ম কম্পানিয়ন, ডেকান ক্রনিকল, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, সিএনএন নিউজ এইটিন ও দর্শকের রিভিউ।