'ইন্ডিয়ান আইডল' থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অনু মালিক?

সোনা মহাপাত্র, অনু মালিক ও শ্বেতা পণ্ডিত
সোনা মহাপাত্র, অনু মালিক ও শ্বেতা পণ্ডিত

আজ রোববার ‘পিঙ্কভিলা’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠার পর অনু মালিককে ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১০’ প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে অনুষ্ঠানটির আয়োজক সনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। অনু মালিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতার কোনো কাজের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরপর আজ দুপুরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনু মালিক বলেন, ‘আমি সনি চ্যানেলে একটি বিবৃতি দিয়েছি। সেখানে বলেছি, আমি যেহেতু নিজের কাজে মনোযোগ দিতে পারছি না, তাই ইন্ডিয়ান আইডল থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি।’ অনু মালিককে সনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১০’ প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন? অনু মালিক বলেন, ‘আমাকে কেউ পদত্যাগ করতে বলেননি। আমি নিজেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই রিয়্যালিটি শো থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছি।’

‘ইন্ডিয়ান আইডল’ আয়োজনের বিচারক ছিলেন অনু মালিক

আরেক খবর থেকে জানা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে পর পর কয়েকটি যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠার পর সনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১০’ শো থেকে অনু মালিককে সরে যেতে বলেছেন। আবার শোনা যাচ্ছে, এসব ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অনু মালিক। তাই অনু মালিক নিজেই সনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, তিনি আর পারছেন না, তিনি ব্রেক নিতে চান।

এর আগে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অনু মালিকের আইনজীবী জুলফিকর মেনন বলেছেন, ‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলন সমর্থন করেন। কিন্তু কিছু ব্যক্তি অনু মালিকের ভাবমূর্তির ক্ষতি করার জন্য এমনটা বলেছেন।

অনু মালিক ও আলিশা চিনয়

ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন অনু মালিক। পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, জি সিনে অ্যাওয়ার্ডস, স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস এবং আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা। এখন তিনি ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১০’ প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক। হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন শুরু হওয়ার পর জনপ্রিয় এই সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীতশিল্পীর বিরুদ্ধে প্রথম যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন সোনা মহাপাত্র ও শ্বেতা পণ্ডিত। তাঁরা দুজনই সংগীতশিল্পী। তাঁরা অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করে বলেছেন, লোকটি বিকৃত মানসিকতার। শ্বেতা পণ্ডিত অভিযোগ করে বলেছেন, ‘২০০১ সালে আমার বয়স ছিল ১৫। স্টুডিওতে গান কণ্ঠে তোলার সময় অনু মালিক তাঁকে কিস করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন।’

অনু মালিক

এবার আরও দুজন নারী অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন। ‘মিড-ডে’ পত্রিকায় তাঁরা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। কিন্তু এখানে তাঁরা নিজেদের নাম ও পরিচয় গোপন রেখেছেন। অনু মালিক তাঁদের নানাভাবে যৌন নির্যাতন করেছেন।

এদিকে মাসালা ডটকমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অনু মালিকের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আলিশা চিনয় যৌন নির্যাতনের মামলা করেন। তিনি একই মামলায় ২৬ লাখ ৬০ হাজার রুপি দাবি করেন। ওই সময় আলিশা চিনয়ের বিরুদ্ধে অনু মালিকও আরেকটি মামলা করেন। সেই মামলায় দুই কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।