‘এবার থামুন। বাচ্চাটাকে কি অন্ধ করে দেবেন?’ ‘এভাবে পোজ দিতে অদ্ভুত লাগে। আপনাদের ছবি তুলতে হলে এমনি তুলে নিন।’ ‘ও ছোট বাচ্চা। দয়া করে ওকে এখন রেহাই দিন।’ ‘একটি বাচ্চাকে নিয়ে মিডিয়ার এত মনোযোগ তার জন্য মোটেও ভালো না।’ বিভিন্ন সময় পাপারাজ্জিদের বলেছেন সাইফ আলী খান। যখনই ছেলে তৈমুরকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে বের হন, তখনই পাপারাজ্জিদের মুখে পড়তে হয়। আর তাতে তিনি ভীষণ বিরক্ত হন। ছেলেকে রক্ষা করার জন্য নানা মন্তব্য করেন। আর তৈমুরের মা কারিনা কাপুর খান বলেছেন, ‘তৈমুর একটা সুস্থ জীবন পাবে, এমনটাই আশা করছি।’ তাঁর মতে, তৈমুর এখন অনেক ছোট। আলোকচিত্রীদের এই মনোযোগে তাঁর শৈশব ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এবার জানা গেছে, সম্প্রতি মুম্বাইয়ে নিজের বাড়ির সামনে থেকে পাপারাজ্জিদের সরানোর জন্য সাইফ আলী খান নাকি পুলিশকে ডেকেছেন। তবে তা অস্বীকার করেছেন তিনি। বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে তিনি বললেন, ‘আমি পুলিশ ডাকিনি। তবে এটা ঠিক, পুলিশ এসেছিল। পুলিশ এসে বাসার সামনে থেকে পাপারাজ্জিদের সরিয়ে দিয়েছে। আমি অভিযোগ করিনি, হয়তো অন্য কেউ করেছে।’
মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় ফরচুন হাইটসের সামনে পাপারাজ্জিদের ভিড় খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আর তা নিয়ে আশপাশের সবাই খুব বিরক্ত। তাতে সবার স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অন্য কেউ যে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারেন, তা অস্বাভাবিক না।
বিরক্ত সাইফ আলী খান বলেছেন, ‘বাসার বাইরে পাপারাজ্জিদের উপস্থিতি আমার একদম ভালো লাগে না। তাঁদের বেশির ভাগই তৈমুরের ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করেন। একটা বাচ্চাকে এভাবে বিরক্ত করা ঠিক?’
পিঙ্কভিলাকে সাইফ আলী খান বলেছেন, ‘আমার বাচ্চার যদি ক্ষতি হয়, তাহলে অবশ্যই আমি ক্যামেরার ঝলকানি বন্ধ করার ব্যবস্থা নেব। আমরা অনেক কিছুই মেনে নিই। কিন্তু এর জন্য যদি অনেক মূল্য দিতে হয়, তা মেনে নেব না।’