মাত্র দুদিন আগেই জানা গেছে, সাবেক স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের প্রশংসা করছেন সাইফ আলী খান। মেয়ে সারা আলী খানের জন্যই নাকি তাঁদের মধ্যে তিক্ততার কিছুটা অবসান হয়েছে। মেয়ের ব্যবহার, ব্যক্তিত্ব, সবার সঙ্গে মেশার আগ্রহ, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সাহস, সফল হওয়ার চেষ্টা—এমনি নানা কিছু নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাইফ। তবে এর সব কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন সাবেক স্ত্রী অমৃতাকে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সারার প্রসঙ্গে সাইফ আলী খান বলেন, ‘সারার জন্য আমার গর্ব হয়। অমৃতা যেভাবে মেয়েকে বড় করেছে, তাতে আমি খুব খুশি।’
এবার কারিনা কাপুর খান তাঁর স্বামী সাইফ আলী খানের সাবেক স্ত্রী অমৃতা সিংকে নিয়ে বললেন, ‘অমৃতাকে আমি শ্রদ্ধা করি। তবে আমরা কখনো সামনাসামনি হইনি।’ সম্প্রতি স্টার ওয়ার্ল্ডের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘কফি উইথ করণ’-এ এসেছেন কারিনা কাপুর খান। সেখানে স্বামীর সাবেক স্ত্রী অমৃতা সিংকে নিয়ে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক করণ জোহরের সঙ্গে কথা বলেন। জানালেন, সাইফ নিজের দুই সন্তান সারা আর ইব্রাহীমকে নিয়ে বিয়ের আগে কারিনাকে বলেছিলেন, ‘আমার দুই সন্তান আমার পরিবার। ওরা আমার সঙ্গেই থাকবে। ওরা আমার জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ শুনে কারিনা বলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি, আর তোমার সঙ্গে যাঁরা থাকবেন, তাঁদেরও নিজের করে নেব।’
ভালোবাসার দিনগুলোর অনুভূতি বাস্তব জীবনেও অটুট আছে। কারিনা কাপুর খান বললেন, ‘আমি তখন সাইফকে পাগলের মতো ভালোবেসেছি। এখনো তাই, আর ভবিষ্যতেও তা-ই থাকবে। আর তখন যা বিশ্বাস করেছি, এখনো তা এতটুকু বদলায়নি।’
১৯৯১ সালে ১২ বছরের বড় অমৃতা সিংকে বিয়ে করেন সাইফ আলী খান। ১৩ বছর সংসার করার পর ২০০৪ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এই দম্পতির দুই সন্তান সারা আলী খান ও ইব্রাহীম খান। ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর কারিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সাইফ। এই দম্পতির সন্তান তৈমুর আলী খান।
সম্প্রতি ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন সাইফ আলী খান। সেখানে তিনি জানান, কারিনার সঙ্গে বিয়ের দিন তিনি ‘সাবেক স্ত্রী’ অমৃতাকে চিঠি লিখেছিলেন। অমৃতাকে পাঠানোর আগে সেই চিঠি পড়েছিলেন কারিনা কাপুর। কারণ কারিনাই নাকি অমৃতাকে চিঠি লেখার জন্য সাইফকে অনুরোধ করেন। চিঠিতে সাইফ তাঁর নতুন জীবন শুরু করার কথা জানিয়েছেন, অমৃতার সঙ্গে কাটানো কিছু পুরোনো স্মৃতির কথাও উল্লেখ করেছিলেন। তবে সেই চিঠিতে ঠিক কী লেখা ছিল, তা সাইফ জানাননি।
সারা আলী খানের সঙ্গে কারিনা কাপুর খানের সম্পর্ক বেশ ভালো। সৎ মেয়ের ফিল্ম ক্যারিয়ার নিয়ে কারিনা খুব সচেতন। সারাকে সিনেমা-সংক্রান্ত নানা পরামর্শ দেন। এমনকি সারার খুঁটিনাটি সব বিষয়ে কারিনার নজর অন্য সবার চেয়ে আলাদা। পরিচালক অভিষেক কাপুরের ‘কেদারনাথ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে সারার। ‘কেদারনাথ’ ছবিতে সারার লুক কারিনার নাকি একদম পছন্দ হয়নি। তাই মেয়েকে আরও সুন্দরী এবং আকর্ষণীয় করতে উঠেপড়ে লেগে যান। মেয়েকে মনের মতো করে সাজাতে কারিনা নিজের হেয়ার ও মেকআপ স্টাইলিস্ট পম্পি হংসকে পাঠান। অনেক বছর ধরে তিনিই কারিনাকে সাজিয়েছেন। কারিনা চেয়েছেন পম্পি যেন সারাকে নতুন রূপ দেন। তাই কারিনা তাঁর মেয়ের লুক আর স্টাইলের দায়িত্ব দেন পম্পিকে।
কারিনা জানেন, একজন নায়িকার লুক আর স্টাইল তাঁর ক্যারিয়ারের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি সারার এ বিষয়ের সঙ্গে কোনো সমঝোতা করতে চান না।
এদিকে সারা আলী খানের প্রথম ছবি ‘কেদারনাথ’ ব্যবসায়িক দিক থেকে সফল হয়েছে। প্রথম ছবিতেই সবার মন জয় করেছেন সারা। বাবা সাইফ আর মা অমৃতা তো মেয়ের সাফল্যে যারপরনাই খুশি। এদিকে সারার সৎমা বলিউড তারকা কারিনা কাপুর খানও দারুণ খুশি। মেয়ের সাফল্যকে উদ্যাপন করার জন্য তিনি আর সাইফ মিলে বিশেষ পার্টির আয়োজন করেন। এই পার্টিতে ছিলেন সারার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, বলিউডের কিছু মানুষ আর আত্মীয়স্বজন।