বলিউডের মেধাবী তারকাদের মধ্যে শহীদ কাপুর অন্যতম। এখন তিনি স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে ‘কবির সিং’ ছবির সাফল্য উপভোগ করছেন। ছবিটির অপ্রত্যাশিত বক্স অফিস সাফল্যে ভাসছেন। তিনি যতটা না বহুমুখী অভিনয়শিল্পী, ততটাই ভালো জীবনসঙ্গী আর বাবা। সম্প্রতি ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বললেন ব্যক্তিজীবন, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে। ফিল্মফেয়ারের সর্বশেষ কভারেও দেখা গেছে এই স্টাইলিস্ট তারকাকে।
শহীদ কাপুর বরাবরই স্পষ্টবাদী। প্রেম, বিচ্ছেদ, বৈবাহিক জীবন—এসব নিয়ে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার’ চেষ্টা সেভাবে করেননি। তাঁর মতে, ‘সবকিছুই ভালো চলছে’—এটা একটা বিভ্রম। একই সঙ্গে সবই ভালো চলা খুব কঠিন। একটা মানুষ যখন ভেবে নেয়, সব ভালো চলছে, তখন সব ভেঙে পড়ে।
শহীদ কাপুর বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের অসংখ্য কাজ করতে হয়, দায়িত্ব পালন করতে হয়। সাংসারিক দায়িত্ব, বাবার দায়িত্ব, ক্যারিয়ার, মা–বাবার সঙ্গে সম্পর্ক—সবকিছুতেই একটা ভারসাম্য রাখতে হয়। আমাকেও প্রতিদিন একই ধরনের সংগ্রামের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক, দূরের সম্পর্ক রক্ষা করতে হয়। স্ত্রী–সন্তানের জন্য সময় বের করা আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আমার স্ত্রীর ধারণা, আমি তাঁকে যথেষ্ট মনোযোগ দিই না। আমি নিজেকেও তেমন সময় দিতে পারি না। মাঝেমধ্যে বিরক্ত হয়ে বলে উঠি, “আমাকে এবার একটু নিজের কাজটা করতে দেওয়া হোক।” আবার পরে সব ভেবে অপরাধবোধ হয়।’
শহীদ কাপুরের স্ত্রী মীরা রাজপুত পড়াশোনা করেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, সাহিত্যে। আর সেখানে রেকর্ড পরিমাণ নম্বর পেয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। মীরাকে জীবনের সবচেয়ে বড় বাস্তবতা উল্লেখ করে শহীদ কাপুর বলেন, ‘আমরা এখন একসঙ্গে পথচলা শিখে গেছি। একটা বোঝাপড়া, নির্ভরতা আর অভ্যস্ততা তৈরি হয়ে গেছে। এখন আমরা একজন আরেকজনের সবচেয়ে ভালো বন্ধু।’
এই সাক্ষাৎকারে শহীদ কাপুর ফিরে গেছেন পেছনে, বিয়ের একেবারে প্রথম দিনগুলোয়। বললেন, ‘মীরা খুব অল্প বয়সে বিয়ে করেছে। যখন নিজেই কেবল কৈশোর পেরিয়েছে, তখন দুটো বাচ্চার মা হয়েছে। তাঁর হয়তো সেই বয়সে অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সেসব পাশে রেখে তাঁকে স্ত্রী আর মায়ের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। অনেক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমাদের বয়সের পার্থক্য ১৩ বছর। আমরা দুজনে মিলে সন্তানদের বড় করছি। সব মিলিয়ে, সবকিছুতে এখন একটা ছন্দ চলে এসেছে। আমদের জীবনযাপনের মধ্যেও এখন চমৎকার সুর আছে।’
এর আগে মীরা রাজপুত বলেছেন, শহীদ কাপুরের বেঁচে থাকার অভিজ্ঞতা বেশি। সেই অভিজ্ঞতার ফলেই মীরার পথচলা সহজ হয়েছে। শহীদ কাপুর জীবন থেকে যা শিখেছেন, তা শিখিয়ে দিয়েছেন মীরাকে। তাই নাকি পথ চলতে হোঁচট কম খান, বা হোঁচট খেলেও নিজেকে সামলে নেন মীরা।