বলিউডের ৩৪ বছর বয়সী সুদর্শন নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু যেন কেউই মেনে নিতে পারছে না। তাঁর আত্মহত্যার ঘটনায় বাকরুদ্ধ সবাই। ভেঙে পড়েছে সুশান্তের পরিবার। আর বাবার চোখ থেকে পানি ঝরছে অবিরত।
বিহারের রাজধানী পাটনার ছেলে সুশান্ত। সেখানেই তাঁর পরিবার থাকে। সুশান্তের মৃত্যুর খবর পেয়ে পাটনায় তাঁর বাসার সামনে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে যায়। জানা গেছে, সুশান্তের আত্মহত্যার খবর পেয়ে তাঁর পরিবার ভেঙে পড়ে। সুশান্তের বাবা কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। তাঁর দুচোখ বেয়ে অনবরত পানি ঝরছে। চার কন্যাসন্তানের পর সুশান্তের জন্ম হয়। তাই পরিবারের অত্যন্ত আদরের ছিলেন তিনি। মজার ছলে সুশান্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘চার বোনের মধ্যে আমি সবচেয়ে ছোট এবং একমাত্র ভাই। তাই সবার অত্যন্ত আদরের আমি। বাড়িতে আমি বাঘের মতো ঘুরতাম। আর বাইরে আমি ভিজে বেড়াল। আমার সব বোনই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিল। তাই আমার কাছে পড়াশোনা ছাড়া আর কোনো রাস্তা ছিল না।’
সুশান্ত ছাত্র হিসেবে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও তিনি প্রথম হতেন। তাঁর মতো হাসিখুশি, প্রাণবন্ত তরুণের মৃত্যু সবার কাছে বিস্ময়কর। জানা গেছে, মানসিক অবসাদ সুশান্তের আত্মহত্যার কারণ। তবে সুশান্তের মামার বক্তব্য, তিনি আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নন, তাই এর সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত।
বান্দ্রায় সুশান্তের বাসা থেকে পুলিশ হাইপার টেনশন ও ডিপ্রেশনের ওষুধের কাগজ পেয়েছে। তবে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তাই পুলিশ জোর তদন্ত করছে। জানা গেছে, সুশান্তকে শেষ দেখা গেছে সকাল দশটা নাগাদ। দশটার সময় তিনি জুসের গ্লাস হাতে করে নিজের ঘরে ঢুকে যান। এরপর তাকে ঘরের বাইরে দেখা যায়নি। দুপুর ১২টা নাগাদ সুশান্তের বাসার দরজায় নক করা হয়। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। ফোনেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এরপর তাঁর বাসার দরজা ভাঙার চেষ্টা করা হয়। তাতেও ব্যর্থ হলে চাবিওয়ালাকে দিয়ে দরজা খোলার ব্যবস্থা করা হয়। বাসার ভেতরে গিয়ে দেখা যায় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মায়াবতী থেকে শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগনসহ রাজনৈতিক ও ছায়াছবির জগতে একাধিক ব্যক্তিত্ব সুশান্ত সিং রাজপুতকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেষশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।