সালমান খানের বক্তব্য নিল পুলিশ, ২০০ সিসিটিভি বাজেয়াপ্ত

সালমান খান
ছবি: টুইটার

গত রোববার সকালে সালমান খান আর তাঁর বাবা সেলিম খানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আর তার পর থেকে মুম্বাই পুলিশ কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছে এই মামলার তদন্ত করতে। এখন এই মামলাসম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে।
গত রোববার প্রাতভ্রমণের সময় সেলিম খান এক উড়ো চিঠি পেয়েছিলেন। এই চিঠিতে তাঁকে এবং সালমানকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠিটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেলিম খান বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছিলেন। তার পর থেকেই মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে সালমান আর তাঁর পরিবারের সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জানা গেছে, পুলিশ দিন-রাত এক করে এই মামলার তদন্তে ব্যস্ত। মুম্বাই পুলিশ চারজনের বয়ান রেকর্ড করেছে। এই চারজন হলেন সেলিম খান, সালমান, আর তাঁর দুই ভাই আরবাজ ও সোহেল।

এ ছাড়া পুলিশ সালমানের বাসা গ্যালাক্সি আবাসনের আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে, তারা এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে। সেলিম খান রোববার সকালে যে বেঞ্চ থেকে উড়ো চিঠিটি পেয়েছিলেন, তার ২০-৩০ মিটার দূরের এক সিসিটিভি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গাছগাছালির কারণে এই সিসিটিভির ফুটেজে বেঞ্চটি দেখা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

সালমান খান

খুনের হুমকি দেওয়া উড়ো চিঠিতে বেশ কিছু ‘কোড ওয়ার্ড’ লেখা আছে। পুলিশ এখন সেসব কোড ওয়ার্ডের আড়ালে আসল শব্দ উদ্ধারে ব্যস্ত। জানা গেছে, চিঠিটিতে ‘এলবি’, ‘জিবি’সহ আরও নানান কোড ওয়ার্ড লেখা আছে। মুম্বাই পুলিশ তদন্ত করছে যে ‘এলবি’ মানে লরেন্স বিষ্ণোই, আর ‘জিবি’ মানে গোল্ডি বরাড় বা অন্য কোনো অর্থ লুকিয়ে আছে কি না। উড়ো চিঠির সঙ্গে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই বা গোল্ডি বরাড়ের হাত আছে কি না, তা উদ্ধারের চেষ্টা করছে তারা।

সালমান খান

কারণ, লরেন্স বিষ্ণোই আগে সালমানকে মেরে ফেলার ধমকি দিয়েছিলেন। আর উড়ো চিঠিতে বলা হয়েছে যে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মতো সালমানের হাল হবে। কিছুদিন আগে গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আর এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম জড়িয়ে পড়েছে। তাই মুম্বাই পুলিশের সন্দেহের তালিকায় সবার ওপর লরেন্স বিষ্ণোইর নাম আছে।

সেলিম খান ও সালমান খান

গতকাল সোমবার মুম্বাই পুলিশের এক বিশেষ দল তদন্তের স্বার্থে সালমানের গ্যালাক্সি আবাসনে গিয়েছিল। আর তখন তারা খান খানদানের সদস্যদের জবানবন্দি নিয়েছে। এই মামলায় ভাইজানের বয়ানকে অত্যন্ত প্রাধান্য দিচ্ছে মুম্বাই পুলিশ। পুলিশ এই বলিউড সুপারস্টারের পাশাপাশি তাঁর বাসার বাইরে কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, মুম্বাই অপরাধ দমন শাখা আর স্থানীয় পুলিশসহ দশটি বিশেষ দল এই মামলার তদন্ত করছে। তবে পুলিশের হাতে এখনো সন্দেহজনক কিছু উঠে আসেনি। এরই মধ্যে সালমান তাঁর আগামী ছবি ‘কাভি ঈদ কাভি দিওয়ালি’র শুটিংয়ের জন্য হায়দরাবাদে রওনা দিয়েছেন।