সাজিদ-ওয়াজিদের বন্ধন ছিন্ন, মারা গেছেন ওয়াজিদ

সালমান খানের সঙ্গে বলিউডি সংগীতে মানিক-জোড় সাজিদ-ওয়াজিদ। ছবি: সংগৃহীত
সালমান খানের সঙ্গে বলিউডি সংগীতে মানিক-জোড় সাজিদ-ওয়াজিদ। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডি সংগীতে মানিক-জোড় হিসেবে পরিচিত সাজিদ-ওয়াজিদ, দুই ভাইয়ের বন্ধন ছিন্ন হয়ে গেছে। সোমবার মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যান ওয়াজিদ খান। ভারতীয় সাংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে নিশ্চিত করেছেন সনু নিগম। মাত্র ৪২ বছরে তাঁর এই হঠাৎ চলে যাওয়ায় হতবাক বলিউড।

তবে ওয়াজিদ খান কীভাবে মারা গেছেন, সে ব্যাপারে এখনো কিছুই নিশ্চিতভাবেই জানা যায়নি।


ওয়াজিদ খানের মৃত্যুতে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন সনু নিগম। তাঁরা দুজন একসঙ্গে অনেক গানে কাজ করেছেন। ১৯৯৯ সালে সনু নিগমের ‘দিওয়ানা’ অ্যালবামের ‘দিওয়ানা তেরা’, ‘আব মুঝে রাত দিন’, ‘ইস কাদার প্যায়ার হ্যায়’—এসব গানে সুর করেন সাজিদ-ওয়াজিদ। মর্মাহত সনু বলেন, ‘ওয়াজিদ আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। এই মুহূর্তে এর বেশি আর কোনো কথা বলতে পারছি না।’


ওয়াজিদ খানের সহকর্মী সংগীত পরিচালক সেলিম মার্চেন্ট বলেছেন, ‘এটা খুবই ভয়াবহ সংবাদ। আমাদের সংগীতঙ্গনের জন্য বড় ক্ষতি। তোমার এই অসময়ে চলে যাওয়ায় ভীষণ বেদনার।’

সোমবার মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যান ওয়াজিদ খান। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অনেক তারকা ওয়াজিদ খানের মৃত্যুতে টুইটার বার্তায় শোক জানিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া লিখেছেন, ‘এ এক ভয়ংকর খবর। সব সময় তাঁর মুখে হাসি লেগে থাকত। বড় অসময়ে চলে গেলেন। পরিবারের জন্য সমবেদনা। ওয়াজিদ ভাইয়ের প্রাণখোলা হাসি সব সময় মনে থাকবে।’


মাত্র ৪২ বছর বয়সে ওয়াজিদ খানের চলে যাওয়াকে বলিউড সংগীতশিল্পী সোনা মোহাপাত্রা হৃদয় বিদারক সংবাদ হিসেবে উল্লেখ করে টুইটারে বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে সারেগামাপা অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে কাজ করেছি। আমাদের চমৎকার কিছু সময় কেটেছে। তিনি অসাধারণ মনের একজন মানুষ ছিলেন। আমি জানতাম, কিছুদিন ধরে তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এই লকডাউনে তাঁর কোনো খবরও নেওয়া হলো না। এটা মনে করতেই ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি।’

‘মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ’, ‘চিনতা তা চিতা চিতা’, ‘হুড হুড দাবাং’, ‘জালওয়া’, ‘আব মুঝে রাতদিন’—এমন অসংখ্য গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন সাজিদ-ওয়াজিদ। সালমান খানের অনেক ছবির সংগীত পরিচালনা করেন তাঁরা।


১৯৮৮ সালের সোহেল খান পরিচালিত বলিউডি চলচ্চিত্র ‘প্যায়ার কিয়া তো ডারনা ক্যা’–তে সর্বপ্রথম সংগীতায়নের কাজ করেন সাজিদ-ওয়াজিদ। এরপর সনু নিগমের ‘দিওয়ানা’ অ্যালবামের গানের সুরারোপ করেন। একই বছরে তাঁরা দুই ভাই ‘হ্যালো ব্রাদার’ ছবিতে সংগীত পরিচালক হিসেবেও কাজ করেন।