নিজের সন্তান যদি বলিউডে আসতে চায়, সে ক্ষেত্রে কঙ্গনা তাকে সাহায্য করবেন? মিড-ডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা রনৌত বলেন, ‘আমি যদি সত্যিই আমার সন্তানের প্রতি যত্নশীল হই এবং আমি যদি সত্যিই একজন ভালো মা হই, তাহলে অবশ্যই আমি তাকে তার নিজের পথ খুঁজে নিতে সহযোগিতা করব।’ স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে বলিউডে এখন খুবই সোচ্চার তিনি। ‘মনিকর্নিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ছবির সাফল্য উপলক্ষে আয়োজিত পার্টিতে বলিউডের এই প্রতিবাদী নায়িকা আরও বলেন, ‘তবে আমি যদি আমার সন্তানকে ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকতে সাহায্য করি, তাহলে সেটা হবে তার দক্ষতাকে ব্যাহত করা। আমি যদি তাকে অসাধারণ হিসেবে দেখতে চাই, তাহলে তাকে সাগরে ফেলে দেব। হয় সে ডুবে যাবে অথবা সে সফল হবে।’ তবে বলে রাখা ভালো, কঙ্গনা এখনো বিয়ে করেননি। সেখানে সাংবাদিকেরা কঙ্গনা রনৌতের ভবিষ্যতের সন্তানকে নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেন।
কীভাবে অসাধারণ হতে হয়? কঙ্গনা রনৌত তাঁর ভাই অক্ষিত রনৌতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, তাঁর ভাই চার বছর ধরে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য সংগ্রাম করছেন। কঙ্গনার একটা ফোনকল তাঁর ভাইয়ের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে পারে। কিন্তু তিনি সেটা করবেন না। বললেন, ‘তাকে চাকরি দেওয়া আমার জন্য কোনো ব্যাপার না। কিন্তু একজন মানুষকে সংগ্রাম, প্রত্যাখ্যান, মরিয়া হওয়া বা ওই হতাশার ভেতর বড় হওয়া দেখতে আমি ভালোবাসি।’
কঙ্গনা রনৌত বলিউডের কয়েকজন জনপ্রিয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের স্বজনপ্রীতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। বলিউডে স্বজনপ্রীতি নিয়ে বহিরাগত লোকজনের ক্ষোভ অনেক বছরের। কিন্তু কেউ সাহস করে মুখ খোলেন না। তবে স্টার ওয়ার্ল্ডের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘কফি উইথ করণ’-এর সঞ্চালক করণ জোহরকে সরাসরি ‘স্বজনপ্রীতির ধারক’ বলে অভিহিত করেন। এর পর ‘স্বজনপ্রীতি’ নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে মুখ খোলেন বলিউডের অনেক সেলিব্রিটি।
এই সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা রনৌত সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এর আগে রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানান। এবার সেই প্রসঙ্গে কঙ্গনা রনৌত বলেন, ‘একজন নাগরিক কখনোই রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারেন না।’ কঙ্গনা নিজেকে রাষ্ট্রের একজন ‘অগ্রগামী চেতনা’ মনে করেন। ভবিষ্যতে দেশের যেকোনো দুঃসময়ে সবাইকে স্বেচ্ছায় বা ইচ্ছা না থাকলেও দেশের হয়ে যুদ্ধ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।