সকালে উঠেই যা করেন আলিয়া

আলিয়া
আলিয়া

আলিয়া ভাট বর্তমানে বলিউডের জনপ্রিয়, বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ও ব্যস্ত অভিনয়শিল্পীদের একজন। পরপর তিনটি ছবি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। সামনে একের পর এক ছবি।

প্রেমিক রণবীর কাপুরের সঙ্গে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির কাজ শেষ করেছেন। চলছে ‘সড়ক’ ছবির সিক্যুয়েল ‘সড়ক টু’ ছবির শুটিং। এই দুটি ছবিই পরিচালনা করেছেন আলিয়া ভাটের বাবা মহেশ ভাট। শোনা যাচ্ছে, মহেশ ভাটের পরের ছবি ‘দিল হ্যায় কে মানতা নেহি’ (১৯৯১) ছবিটির রিমেকেও দেখা যাবে কন্যা আলিয়া ভাটকে। এখানে আবার আবদার জুড়ে বসেছেন তিনি। এই ছবিতে নিতে আমির খানের চরিত্রে নিতে হবে প্রেমিক রণবীর কাপুরকে।

জানা গেছে, কন্যা আলিয়ার এ আবদারও মেটাবেন মহেশ ভাট। এখন রণবীরের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা। রণবীর রাজি হলেই শুরু হবে ‘দিল হ্যায় কে মানতা নেহি’ ছবির রিমেকের কাজ। আর করণ জোহরের ‘তখত’ তো রয়েছেই। এখানে আলিয়া ভাট ছাড়াও দেখা যাবে জাহ্নবী কাপুর, ভিকি কৌশল, রণবীর সিং, কারিনা কাপুর খান, ভূমি পেডনেকার, অনিল কাপুরের মতো তারকাদের।

আলিয়া

আলিয়া বর্তমানে তিনি ‘সড়ক টু’ ছবির শুটিংয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর ওটিতে রয়েছেন। সেখানে ১ আগস্ট ঘুম থেকে উঠে শুনলেন, শুটিং হবে না। কোনো বিশেষ কাজও ছিল না। তাই ঠিক করলেন, তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও বানাবেন। ভিডিওর বিষয়: শুটিংয়ের দিন সকালে কী করেন আলিয়া ভাট।

ভিডিও শুরু করলেন সকালে ঘুম থেকে ওঠা দিয়ে। সাড়ে আট মিনিটের এই ভিডিওটি ইউটিউবে দেখা হয়েছে প্রায় ১৫ লাখবার। ভিডিওতে হোটেলের বিছানায় বসে আলিয়া জানালেন, ঘুম থেকে উঠে মোটেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুঁ দেন না তিনি। আগে নাকি ‘একটু চেক’ করতে যেতেন। ব্যস, কোত্থেকে ঘণ্টা পার হয়ে যেত, টেরই পেতেন না! সবার যে অভিজ্ঞতা হয় আরকি। তাই এখন মোটেই যান না। ঘুম থেকে উঠে গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খান। আগে নাকি ঘুম থেকে উঠেই কফি খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যেতেন। কিন্তু সেটা স্বাস্থ্যকর না বলে এখন ছেড়েছেন। এই ভিডিওতে আরও পরিচয় করিয়ে দিলেন তাঁর মেকআপ আর্টিস্ট ও কাজের সহকারীদের সঙ্গে।

আলিয়া

প্রতিদিন সকালে আলিয়া একটা মজার কাজ করেন। তাঁর একটা নোটবুক আছে, সেখানে দিনের প্রতিদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা, শিক্ষা বা অনুভব এক, দুই বা তিন লাইনে ছোট্ট করে লেখেন। সেই নোটবুকের নাম ‘ওয়ান লাইন আ ডে’। আগের দিন রাতে না লিখে পরদিন সকালে লেখেন। আবার যখন ইচ্ছা হয়, তখন কফি নিয়ে বসে পুরোনো দিনে ফিরে যান। নিজের লেখা পড়েন, চলে যাওয়া দিনগুলোর কথা ভাবেন আর আপন মনে নিজেই হাসেন।

আলিয়ার মতে মানুষের জীবন স্মৃতির সম্মিলন ছাড়া আর কিছুই না। তাই প্রতিদিন সকালে উঠে আগের দিনের সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতি টুকে রাখেন। এরপর তাঁর সংলাপগুলোয় চোখ বোলান। আলিয়া নাকি এক মাস আগেই তাঁর সংলাপ মুখস্থ করে রেডি রাখেন। শট একটুও এদিক–সেদিক হলে তাঁর নাকি খুবই মেজাজ খারাপ হয়।

আলিয়া

অভিনয়শিল্পী ছাড়াও আলিয়ার আরও একটি পরিচয় আছে। তা হলো প্লেব্যাকশিল্পী। একাধিক চলচ্চিত্রের গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। এবার চলচ্চিত্রের গানে না, ‘দ্য দুরবিন’–এর হয়ে তিনি গান গাইবেন, আবার সেই গানের মিউজিক ভিডিওতেও দেখা যাবে তাঁকে। আর এখানে কেবল নেচেই ক্ষান্ত দেবেন না তিনি। গাড়ি, ফটো ফ্রেম, বাইকের টায়ার, রেডিও, গিটার নিয়ে আরও অনেক কিছু করতে দেখা যাবে তাঁকে। এই গানের ভিডিওটি পরিচালনা করবেন বস্কো মার্টিস।

বলিউডের জনপ্রিয় এই কোরিওগ্রাফার ২০১১ সালে ‘জিন্দেগি না মিলাগি দোবারা’ সিনেমার ‘সেনোরিটা’ গানের কোরিওগ্রাফির জন্য জাতীয় পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পেয়েছেন।