৫০ টাকা নিয়ে মুম্বাই এসেছিলেন। ছোট এক ভাড়া বাড়িতে থেকে দেখেছিলেন প্রাসাদ কেনার স্বপ্ন। শুধু স্বপ্ন দেখেই বসে থাকেনি, একে একে সেগুলোকে বাস্তব রূপ দিয়েছেন। অন্যদিকে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মে মাদক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন ছেলে আরিয়ান। শেষ পর্যন্ত জেলেও যেতে হয়েছে। গতকাল রোববার রাতটা কেটেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিজস্ব জেলের চার দেয়ালে।
আজ সোমবার বাবার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন আরিয়ান খান। মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই একবারই তাঁদের কথা হয়েছে। টেলিফোনে দুই মিনিটের মতো কথা বলার সময় আরিয়ান কান্নায় ভেঙে পড়েন।
একসময় হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যম নিজস্ব উৎসে এ খবরটি প্রকাশ করেছে।
আজ ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান নাকি চার বছর ধরে মাদক নিচ্ছেন। মাদককাণ্ডে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর গতকাল বিকেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার দেখায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সন্ধ্যায় মেডিকেল চেকআপের পর আদালতে তোলা হলে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাঁকে এক দিনের হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। সেখানেই চার বছর ধরে মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেছেন শাহরুখপুত্র।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে বলেছিলেন, জীবনে এই প্রথম মাদক নিয়েছেন তিনি। কিন্তু আরিয়ানের সেই স্বীকারোক্তি বিশ্বাস করেননি কর্মকর্তারা। একসময় জানা গেল, চার বছর ধরে মাদক সেবন করছেন আরিয়ান। দুবাই, লন্ডন এবং আরও অন্যান্য দেশে গিয়েও নেশা করতেন তিনি। যদিও এসব খবরের চূড়ান্ত সত্যতা পাওয়া যায়নি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বরাত জানিয়েছে, তারা ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি ও ৫ গ্রাম মেফেড্রোন এবং নগদ এক লাখ ৩০ হাজার রুপি জব্দ করেছে। আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এনডিপিএসের ২৭ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে।
অপরাধ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ২০ হাজার রুপি জরিমানাসহ কারাদণ্ড হতে পারে। আজ বিকেলে আরিয়ানের জামিন শুনানি হওয়ার কথা। ছেলের পক্ষে আইনি লড়াই চালাতে মুম্বাইয়ের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডেকে নিয়োগ দিয়েছেন শাহরুখ খান।