বলিউডের একটি অংশের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমীর বানখেড়ে
বলিউডের একটি অংশের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমীর বানখেড়ে

শাহরুখপুত্রকে আটক করেছে এক বলিউড অভিনেত্রীর স্বামী

নামটা একটু খটমটে, সমীর বানখেড়ে। প্রায় এক যুগ ধরে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষটি হয়ে উঠেছেন বলিউডের ‘ত্রাস’। দিনের পর দিন বলিউডের অন্ধকার দিকগুলো প্রকাশ করার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন। মাদক–যোগ থেকে শুরু করে কর ফাঁকি—সব জায়গায় হাজির সমীর বানখেড়ে। এই সরকারি কর্মকর্তা যেন বাস্তবের নায়ক। বলিউডের একটি অংশের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমীর বানখেড়ে। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে মাদক-যোগ থেকে শুরু করে ২০১১ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি আটকে দেওয়া—সবখানে ‘নায়ক’ সমীর।

আরিয়ান

বানখেড়ের কাছে খবর ছিল, মুম্বাইয়ের মাঝসমুদ্রের একটি প্রমোদতরির হাই-প্রোফাইল পার্টিতে থাকতে পারেন বলিউডের কোনো এক তারকার ছেলে ও তাঁর বন্ধুরা। ছদ্মবেশে দলবল নিয়ে নিজেই সেখানে হাজির হন তিনি।

২০১১ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে বিশ্বকাপ ট্রফি পর্যন্ত আটকে দিয়েছিলেন বানখেড়ে। অভিযোগ, সোনায় মোড়া ট্রফিটির আমদানি শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। পরে সেই শুল্ক মিটিয়ে ট্রফি ছাড়াতে হয়েছিল। ২০১৩ সালে বিদেশি মুদ্রাসহ মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেন মিকা সিংকে।

রিয়া চক্রবর্তীর মাদক কেলেঙ্কারির তদন্তের দায়িত্বও ছিল তাঁর কাঁধে। এ সূত্রে তিনিই বলিউডের অন্তত ৫০ জন অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালকের নাম প্রকাশ করেছিলেন। এ-ও বলেছিলেন, বলিউডের প্রথম সারির বেশ কিছু অভিনেতা, যাঁরা ড্রাগ পার্টির আয়োজন করেন, তাঁদের সঙ্গে ক্রিকেট জগতেরও যোগ আছে। রিয়া চক্রবর্তীকে আটকের পাশাপাশি জেরা করেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলী খান, শ্রদ্ধা কাপুর, রাকুল প্রীত সিং ও অর্জুন রামপালকে।

তদন্ত করেছেন হৃতিক রোশন, রণবীর সিং, শহীদ কাপুরেরও বিরুদ্ধে।
গত দুই বছরে মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছেন তিনি।

আরিয়ান খান

পেশাগত জীবনে কঠোর এই কর্মকর্তা একসময় ভারতের শুল্ক দপ্তরে কাজ করতেন। সে সময় একাধিক তারকার বিদেশ থেকে আনা পণ্য বিমানবন্দর থেকে ছাড়ানোর অনুমতি আটকে দিয়েছিলেন। শুধু তা–ই নয়, অন্তত দুই হাজার তারকার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এই কর্মকর্তা।

২০০৮ ব্যাচের আইএএস কর্মকর্তা সমীর বানখেড়ে। তাঁর সঙ্গে অবশ্য বলিউডের যোগাযোগও রয়েছে। জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর এই কর্মকর্তা বলিউড অভিনেত্রী ক্রান্তি রেদকরের স্বামী। ২০০৩ সালে অজয় দেবগনের ‘গঙ্গাজল’ ছবিতে কাজ করেছেন ওই অভিনেত্রী। একাধিক মারাঠি ছবিতেও অভিনয় করেছেন ক্রান্তি রেদকর।